বাণিজ্য মেলায় রফতানি আদেশ বাড়বে : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্য মেলায় রফতানি আদেশ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই মেলার রফতানি আদেশ বাড়ে। গত বছর রফতানি আদেশ এসেছিল ২৪৩ কোটি টাকা। এবার সেটা আরও বাড়বে এটা আশা করা যায়। কারণ মেলা হবে আগের চেয়ে সুশৃঙ্খল।’
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মেলা প্রঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা সুশৃঙ্খল হবে। এবারে ১০০টি সিসি ক্যামেরা থাকবে প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। মেলার দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার জন্য মেলার অভ্যন্তরের রাস্তাগুলোতে বেশি জায়গা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবারই বছরের শুরুতে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আয়োজন করি। আগামীকাল ১ জানুয়ারি সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলার উদ্বোধন করবেন। এ বাণিজ্য মেলা শুধু ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারেরই কাজ করে না এটা একটা বিনোদনের কেন্দ্রেও পরিণিত হয়েছে।’
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সাল হলো নির্বাচনের বছর। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে। আর নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। ইসি যে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারে সেটা তারা প্রমাণ করেছে কুমিল্লা ও রংপুর সিটি নির্বাচন করে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে বাণিজ্য মেলা হবে ২০২০ সাল থেকে।
এবার বাণিজ্য মেলার প্রধান প্রবেশদ্বার করা হয়েছে পদ্মা সেতুর আদলে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮।
এবার মেলায় ভিন্ন আঙ্গিক আনার চেষ্টা করা হয়েছে। ভেতরে বেশ ফাঁকা রাখা হয়েছে। মেলার দুই প্রান্তে সুন্দরবন ইকো পার্কের আকৃতি দেয়া হয়েছে। শিশু কর্নারের কাজও প্রায় শেষ। অর্কিডের বাগানের কাজ চলছে। আশা করছি কাল বিকালের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
মেলায় দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিলিয়ে এবার ৫৮৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য জানান, ‘মেলায় এবার স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৫৮৯টি। বড় প্যাভিলিয়ন ১১২টি, মিনি প্যাভিলিয়ন ৭৭টি ও বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট স্টলের সংখ্যা ৪০০টি।’
এবারের মেলায় থাকছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, ফ্ল্যাওয়ার গার্ডেন, ই-শপ, শিশু পার্ক, প্রাইমারি হেলথ সেন্টার, মা ও শিশু কেন্দ্র, রক্তসংগ্রহ কেন্দ্রসহ ৩২ ধরনের অবকাঠামো। মেলায় বিদেশি অংশগ্রহণকারী হিসেবে ১৭টি দেশের ৪৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মেলার স্টল বরাদ্দে কোনো অনিয়ম হয়নি। আর খাবারের স্টলগুলোর ব্যাপারে এবার আমরা সতর্ক। প্রতিটি খাবারের দাম নির্ধারণ করা থাকবে। এমনকি সালাদের দাম নিলেও সেটার মূল্য দৃশ্যমানভাবে লেখা থাকতে হবে।
এমএ/এমইউএইচ/এসএইচএস/পিআর