বিশ্বমানের ইউপিভিসি পাইপ উৎপাদন করছে আরএফএল


প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশে গৃহ নির্মাণ ও কৃষিকাজে একসময় লোহার তৈরি পাইপের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও টেকসই, দীর্ঘস্থায়ী ও দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় ইউপিভিসি পাইপ ও ফিটিংস পণ্য দেশের সর্বত্রে আজ ব্যবহৃত হচ্ছে। যুগের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের পছন্দ ও চাহিদার পরিবর্তন ঘটেছে। কৃষিকাজ, গৃহ নির্মাণসহ যেকোন নির্মাণ কাজে ইউপিভিসি পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এসব পণ্যের চাহিদা মিটাতে পূর্বে দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হতো।

বর্তমানে বাংলাদেশের বেশকয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইউপিভিসি পাইপ ও ফিটিংস পণ্য উৎপাদন করার ফলে আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে রপ্তানিও করছে। দেশে যেসকল প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য উৎপাদন করে আরএফএল তাদের মধ্যে অন্যতম। প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরএফএল ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে সকলের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল জানান, বিশ্বমানের ইউপিভিসি পণ্য ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ১৯৯৬ সালে আরএফএল ইউপিভিসি পাইপ ও ফিটিংস পণ্যের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। আরএফএল দেশের অভ্যন্তরে এসব পণ্যের চাহিদার প্রায় সিংহভাগ যোগান দিচ্ছে। আরএফএল এর ইউপিভিসি পণ্য কৃষিসহ বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় এসব পণ্য নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, আরএফএল ও সুলভ দু’টি ব্র্যান্ডে ইউপিভিসি পাইপ ও ফিটিংস বাজারজাত করা হচ্ছে। এদু’টি ব্র্যান্ডে যেসব পণ্য যাওয়া যাচ্ছে, সেগুলি হলো- ক্লাস পাইপ, নন ক্লাস পাইপ, হোস পাইপ, থ্রেড পাইপ, এস ডাব্লিউ আর পাইপ, পি পি আর পাইপ, এইচ ডি পি ই পাইপ ও নানাধরনের ইউপিভিসি ফিটিংস। এছাড়াও শাইন ব্র্যান্ডে পাওয়া যাচ্ছে বাথরুম ফিটিংসের নানান পণ্য। এগুলি হলো-পানির কল, ফ্লাস ট্যাংক, টিস্যু হোল্ডার, কর্ণার র‌্যাক, টাওয়েল হ্যাঙ্গারসহ ইত্যাদি পণ্য।  

নরসিংদির পলাশে ও হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে আরএফএল এর ইউপিভিসি পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদন কাজে প্রায় দুই হাজার দক্ষ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। আরএফএল এর এসব পণ্য বিএসটিআই, আইএসও এবং ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী উৎপাদিত হয়। আরএফএল এর কিউ সি ল্যাব দেশের অন্যতম আধুনিক ল্যাব যেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক মান নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। কিউ সি ল্যাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পরই কেবল সেসব পণ্য বাজারজাত করা হয় বলেও জানান কামরুজ্জামান কামাল।

তিনি আরও জানান, ইউপিভিসি পাইপ ও ফিটিংস পণ্য বিক্রয়ের জন্যে সারাদেশে ১৫০টি আরএফএল এর এক্সক্লুসিভ শো-রুম রয়েছে। এছাড়াও দেশব্যাপী প্রায় এক হাজারের অধিক পরিবেশক ও ১০ হাজার খুচরা বিক্রেতা রয়েছে।

ফ্যাক্টরিতে কর্মরত শ্রমিকদের বিনা খরচে খাবার প্রদান করা হয়। এছাড়াও কর্মকর্তা এবং শ্রমিকদের জন্যে আবাসিক ব্যবস্থার পাশাপাশি বাচ্চাদের পড়ালেখলার জন্যে ফ্যাক্টরি সংলগ্ন স্কুল রয়েছে।

আরএফএল ক্রেতাদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসবে। অচিরেই আরএফএল এশিয়ার বৃহত্তম ইউপিভিসি পাইপ ও ফিটিংস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত হবে বলে কামরুজ্জামান কামাল আশা প্রকাশ করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।