শেষ হলো সিলেটের বীমা মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার জিমনেসিয়ামে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী বীমা মেলা শেষ হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় কবি নজরুল অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী।

বীমা গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করে আইডিআরএ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম এবং বীমা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান মেলা আয়োজনে সহযোগিতা করেছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো বীমা সেক্টরের প্রচার এবং এই সেক্টরের যে ইমেজ সংকট আছে তা দূর করা। আপনাদের (বীমা কোম্পানি) যে বদনাম ছিল তা অল্প সময়ে ঘুচে যাবে, যদি আপনারা আন্তরিক হন। বীমা খাতের ইমেজ বাড়ানোর স্বার্থে আমরা সবকিছু করব।

bima

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ও বীমা মেলা আয়োজক কমিটি ২০১৭- এর সভাপতি গকুল চাঁদ দাসের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি ও পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী, আইডিআরএ সদস্য। বোরহান জিএইচ উদ্দিনমাহফুজুল বারী চৌধুরী প্রমুখ।
শুক্রবার সকাল ৯টায় সিলেট কোর্ট এলাকা থেকে র‌্যালির মাধ্যমে দু’দিনের এ বীমা মেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। র‌্যালিতে আকর্ষণীয়ভাবে অংশগ্রহণ করে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে পপুলার লাইফ। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে মেটলাই এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ন্যাশনাল লাইফ। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানকেই সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়।

bima

একই সঙ্গে মেলায় অংশগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থেকে তিনটি সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়। মেলায় আকর্ষণীয় স্টল হিসেবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। আর পপুলার লাইফ দ্বিতীয় এবং সন্ধানী লাইফ তৃতীয় হয়েছে। দেশের দু'টি সরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশন এবং সাধারণ বীমা করপোরেশনের পাশাপাশি ৩০টি বেসরকারি বীমা কোম্পানি মেলায় অংশগ্রহণ করে।

bima

এদিকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পরেও সিলেটের বীমা মেলা গ্রাহকদের তেমন আকৃষ্ট করতে পারেনি। মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যয়, অধিকাংশ স্টলেই কোনো দর্শনার্থী নেই। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের স্টলে ৫ থেকে ১০ জন নিজস্ব বীমা কর্মীর আনাগোনা ছিল বেশিরভাগ সময়।

এ বিষয়ে মেলা আয়োজক কমিটির মহাসচিব বি এম ইউসুফ আলী বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে সিলেট এলাকার মানুষের বীমা নিয়ে আগ্রহ কম। এ কারণে মেলায় গ্রাহকদের উপস্থিতি কিছুটা কম।

এমএএস/ওআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।