অ্যাপোলো ইস্পাতের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিঃ এর ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ ফনিক্স টাওয়ার-২ এ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাধারণ শেয়ার হোল্ডারের উপস্থিতিতে এজিএমে সভাপতিত্ব করেন অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ।

সাধারণ সভায় সমাপ্ত অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া কোম্পানির আয়-ব্যয় সম্পর্কিত আর্থিক বিবরণী ও এর ওপর নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদন দেয়া হয় এজিএম এ।

বার্ষিক সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনসার আলী, কোম্পানির পরিচাক এম এ মজিদ, মো. রফিক, স্বাধীন পরিচালক মো. আবু কায়সার, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আবুল হাসান এবং কোম্পানি সচিব মো. সোহেল আমীন প্রমুখ।

এদিকে ২৩তম সাধারণ সভায় অবসরে যাওয়ায় কোম্পানির পরিচালক আবদুর রহমান, মো. রফিক পরিচালক, মিসেস রোকসানা বেগম পরিচালক এবং মিসেস ইভানা ফাহমিদা মোহাম্মদ পরিচালক পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। সভায় পরবর্তী বছরের (২০১৭-১৮ অর্থ বছর) জন্য মেসার্স মালেক সিদ্দিকি ওয়ালী চার্টার্ড একাউন্টসকে নিরীক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ বলেন, আলোচ্য অর্থ বছরে মোট বিক্রয় ৫৩০ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা থেকে ৫৭১ দশমিক ৪৩ কোটি হলেও কর পরবর্তী নিট মুনাফা ৭৫ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা থেকে ৪৭ দশমিক ৭৮ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। তা সত্বেও পরিচালক পর্ষদ ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ সুপারিশ করেছেন।

দীন মোহাম্মদ আরও বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা সত্বেও আমরা পণ্যের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি, ব্যবহারের বৈচিত্র আনয়ন এবং সীমানা পেরিয়ে রফতানির মাধ্যমে বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তিনি বিশ্বাস করেন, অতীতের মতো শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থ সব সময় অক্ষুণ্ন রাখতে পারব।

তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান রঙিন ঢেউটিন ও প্রোফাইল শিটের বাজারে সাড়া দিতে ব্যাপক পরিসরে উন্নতমানের ‘রানী মার্কা’ গ্যালভালুম, রঙিন ঢেউটিন, প্রোফাইল শিট ইত্যাদি আমাদের পণ্যের তালিকায় সংযোজনের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনসার আলী বলেন, ‘প্রতিকুলতা সত্বেও আমরা বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছি এবং আশা করছি দ্রুতই কোম্পানি আরও ভালে অবস্থানে দাঁড়াবে’। তিনি আরও বলেন, বাজারে দ্রুত বর্ধনশীল বৈচিত্র ও পছন্দের কারণে অগ্রণী ব্র্যান্ডের ভূমিকা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার সঙ্গে পণ্য এবং গুণগত সেবা মানের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।

এমএ/এমআরএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।