সবজি মাছ ও ডিমে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৯ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

ঋতু পরিক্রমায় এখন চলছে পৌষ মাস। শীতের সবজিতে ভরপুর রাজধানীর কাঁচাবাজার। সরবরাহ বাড়ায় দামও কমতে শুরু করেছে। নিম্নমুখী রয়েছে মাছ ও ডিমের দামও। তবে এখনও চড়া পেঁয়াজের মূল্য।

বিক্রেতারা বলছেন, শীত যত বাড়বে সবজির সরবরাহও তত বাড়বে আর দামও কমবে। এদিকে পেঁয়াজের দামে অস্বস্তিতে থাকলেও কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

শুক্রবার রাজধানীর মুগদা, খিলগাঁও এবং মতিঝিল অঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।

শুরুর দিকে শীতের অন্যতম সবজি বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রতিটি ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন ভাল মানের এ কপি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। আবার কিছুটা ছোট কপি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। মান ভেদে শিম বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা কেজি দরে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা এবং শাল গম ২০ থেকে ৩০ টাকায়। নতুন আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। আর কোল্ড স্টোরেজের আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।

এ ছাড়া করলা ও ঢেঁড়স ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ২৪-৩০ টাকা আর ভাল মানের প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৩০-৪০ টাকা।

মুগদার সবজি বিক্রেতা রবিউল বলেন, ‘দেড়শ টাকার টমেটো এখন ৬০ টাকা। শিম, মুলা, ফুলকপি সব সবজির দামই কইমা অর্ধেক হইছে। তার পরও মানুষ কয় এত দাম কেন’? তবে শীতের সবজির সরবরাহ যত বাড়বে দাম তত কমবে বলে জানান এ সবজি বিক্রতা।

এ ছাড়াও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, পাকা টমেটো ৬০-৮০ টাকা আর কাঁচা টমেটো ২০-২৪ টাকা। গাজর ৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি প্রকার ভেদে ১২-২০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৪০ টাকায় আর খিরা ৩০ টাকা। পালংশাক, সরিষাশাক, মুলাশাক, লাউশাক এবং লালশাক প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে।

তবে এখনও অস্থির রয়েছে পেঁয়াজের বাজার। মতিঝিলের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ গত সপ্তাহের দামেই অর্থাৎ ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। আজ (শুক্রবার) বিক্রি করছি ১২০ টাকা দরে। দেশি নতুন পেঁয়াজ ৮০ টাকা

এদিকে সবজির সঙ্গে কমতে শুরু করেছে মাছের দামও। শুক্রবার প্রতি কেজি রুই ২২০-৩০০ টাকা, কাতলা ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০, আইড় ৩৫০-৪৫০ টাকা, মেনি ৩০০-৩৫০, বাইলা প্রকার ভেদে ২৫০-৪০০ টাকা, বাইন ৩০০-৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৪০০-৬০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২৫০ টাকা, পোয়া ৩০০-৪০০ টাকা, মলা ২৮০-৩৬০ টাকা, পাবদা ৩২০-৪৬০ টাকা, বোয়াল ৩৫০-৫০০ টাকা, শিং ও দেশি মাগুর ৪০০-৭০০, শোল ৩৫০-৫০০ টাকা, টাকি ২২০-৩০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১২০-১৬০ টাকা এবং কৈ ১৬০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।

কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও। শুক্রবার প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৬ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যার দাম ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা।

প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা, দেশি মুরগির কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা। গরুর মাংসের দাম ৪৮০-৫০০ টাকা, আর খাশির মাংসের কেজি ৭২০ টাকা।

মতিঝিল এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমেছে এটা স্বস্তিদায়ক। মাছের দামও কমছে। তবে পেঁয়াজের বাজার এখনও চড়া। দাম শুনলেই বিরক্ত লাগে।

এসআই/এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।