বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের নেতিবাচক প্রভাব
বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের নেতিবাচক প্রভাব বেড়েই চলেছে। এতে দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণেও খারাপ প্রভাব পড়ছে।বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে নিট ৯০৭ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ এসেছে। সুদসহ এখন এর স্থিতি দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি ডলার বা ৭৮ হাজার কোটি টাকার মতো।
তুলনামূলক সুদহার কম থাকায় গ্রহীতারা এ ঋণের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। এতে ব্যাংকগুলোর আমদানি ঋণ কমে অলস টাকার পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর কাছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে। এর মধ্যে একেবারে অলস পড়ে আছে ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো। বিপুল পরিমাণ অর্থের বিপরীতে আমানতকারীকে সুদ গুনলেও কোনো আয় না আসায় অনেক ব্যাংক আমানত সংগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে।
কারখানার পরিসর বাড়ানোর যন্ত্র আমদানির জন্য বিদেশ থেকে দুই দফায় ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার মূল্যের ঋণ নেয় `গরিব অ্যান্ড গরিব` নামে একটি কোম্পানি। খেলাপি হওয়ার পর সম্প্রতি দুটি ঋণই তিন বছর মেয়াদে রূপান্তরের জন্য বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়।
তবে বিনিয়োগ বোর্ড কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে তা পাঠিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। গাজীপুরে অবস্থিত ক্রাউন ফ্যাশন অ্যান্ড সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজের ছয় লাখ ৩৮ হাজার ডলার বিদেশি ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে গত বছরের নভেম্বরে। আজ পর্যন্ত ঋণের টাকা পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানও ঋণের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর আবেদন করেছে। একই অঞ্চলের কাভেরী সোয়েটারস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান এক বছরের জন্য নেওয়া ঋণ এখন চার বছর মেয়াদিতে পরিণত করার আবেদন করেছে।