‘বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আর্থিক খাত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

‘আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা আনলে দেশের অর্ধেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত।

তিনি বলেন, ‘দেশের ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে। এ জন্যই এ খাতে বড় বড় অনিয়ম হচ্ছে’।

মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী বৃহস্পতিবার সমিতির ২০তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আজ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের অর্থিক খাতে বড় ধরনের ‘দুর্ঘটনার ঝুঁকি’ রয়েছে এমন আশংকা ব্যক্ত করে ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘দেশে দৃশ্যমান অবকাঠামোর উন্নতি হচ্ছে। তার মধ্যে পদ্মাসেতু, রাস্তা-ঘাট অন্যতম। কিন্তু অদৃশ্যমান অবকাঠামো যেমন- স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আর্থিক খাতের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না’।

এ সময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন বলেন, ‘দেশে নতুন আর কোনো ব্যাংকের প্রয়োজন নেই’। ফার্মাস ব্যাংকের এমডির অপসারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকটিতে আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে বলেই তাকে (এমডি) অপসারণ করা হয়েছে’।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

এ ছাড়া ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।

তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বারটি কর্ম অধিবেশনসহ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী।

এমএ/এমএইচএম/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।