অস্থিরতা কমেনি নিত্যপণ্যের বাজারে


প্রকাশিত: ০৭:১৪ এএম, ২৬ জুন ২০১৫

পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে লাগামহীনভাবে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দর। রোজার অষ্টম দিনেও সেই ঊর্ধ্বমুখী তেঁজ কমেনি বাজারে। দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিংয়ের কঠোর হুঁশিয়ারিও কাজে আসেনি। গত সপ্তাহের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, ছোলা, তেল, মাছ, মাংস, সবজি ও চিনি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রমজান মাসে যেসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে তা এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারেও বেশি দামে কেনা বলে এখনো বাড়তি দাম বলছেন খুচরা বিক্রেতারা। চাহিদার তুলনায় বাজারে পণ্য সরবারহ পর্যাপ্ত থাকার পরও অধিক মুনাফার লোভে দাম বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫-৪৮ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০টাকায়। এদিকে রমজানের অন্যতম উপকরণ ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, বুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা খেসারির ডাল প্রতি কেজি ৫২-৫৬ টাকা, চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৪ টাকা দরে। মুশুরের ডাল প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি মুশুরের ডাল প্রতি কেজি ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, মুগ ডাল প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বাজারে প্রকার বেধে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৫৫-৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা, লেবু প্রতি হালি প্রকার বেধে ২০-৩৬ টাকা দরে বিক্রি করছে। প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।

এছাড়াও প্রতি কেজি সাদা আলু ২২-২৪ ও লাল আলু ৩২ টাকা। করলা ৪০ টাকা, পটল ৪০-৪৪ টাকা, ঝিঙ্গে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪২ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিচ ১৫-২০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২৪-৩২ টাকায় বিক্রি করছে।  

প্রতি আঁটি লাউ শাক ১৫-২০ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ২০ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রকারভেদে কেজি প্রতি দেশি রসুন ৭০-৮০ টাকা, মোটা রসুন ৯০-১১০ টাকা ও এক দানা রসুন ১৬০ টাকা, আদা ১৪০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, খাসির মাংস ৫৮০-৬০০ টাকায় এবং বকরি ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫৪০ টাকা।

এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় ও লেয়ার ১৯০ টাকা, কক মুরগি ২২০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি করছে।

ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩০-৩২ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৩৮-৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৩৫-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খুচরা মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধররেন মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি রুই দেশি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকার বেধে ৮০০-১৪০০ টাকা, পুঁটি ২২০-২৫০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫৫০ টাকা, শিং আকারভেদে ৬০০-১২০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০-২২০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  ৮০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকায়।

রাজধানীর খোলাবাজারে লিটার প্রতি বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৬-১০০ টাকায়।

এসআই/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।