১.২ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোরের দ্বিতীয় ধাপের উন্নয়নের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মঙ্গলবার ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত সংস্থাটির বোর্ড সভায় এ অর্থ অনুমোদন করা হয়।
আগারগাঁওস্থ এডিবির বাংলাদেশ অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এডিবির সাউথ এশিয়া বিভাগের প্রকল্প প্রশাসনের ইউনিট হেড ডং কিউ লি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশে আঞ্চলিক বাণিজ্য হাব তৈরির সম্ভাব্য সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য পরিবহন খরচ কমিয়ে আনা ও এ সেক্টরকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য দেশটির পরিবহন পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক সমৃদ্ধিকে উন্নত করতে দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতায় গঠিত জোট সাসেক’র মধ্যে পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়। এজন্য ২০০১ সাল থেকে সাসেক’র সদস্যভূক্তদেশগুলো এ পযর্ন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ১৭ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে ৩১টি পরিবহন প্রকল্পসহ একটি আঞ্চলিক প্রকল্পে ৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।
১৯৯৪ সাল থেকে ঢাকা-উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় করিডোর উন্নয়নে এডিবি বাংলাদেশের অংশীদার হয়েছে বলে জানায় এডিবি। এর আগে যমুনা সেতু প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক করিডোর প্রকল্পে (১ম পর্ব) ১৯ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঋণ দেয়। রাস্তাটির জয়দেবপুর-এলেঙ্গা ৭০ কিলোমিটার (কি.মি.) দৈর্ঘ্যর সড়ক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া দুইটি স্থলবন্দর- বুড়িমারী ও বেনাপোলের কার্যকারীতা উন্নত করেছে, যা ভুটান ও ভারতের প্রবেশদ্বার বলে মনে করা হয়।
এতে বলা হয়, প্রকল্পের (পর্ব ২)-এ এলেঙ্গা থেকে হাটিকুরুল থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হবে। এছাড়া সড়ক ও হাইওয়ে বিভাগে রাস্তা অপারেশন এবং ব্যবস্থাপনাও শক্তিশালী করা হবে। একই সঙ্গে এই সড়কে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ করার জন্য ধীরগতিতে চলমান ট্রাফিকের জন্য পদবিন্যাস এবং লেন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রকল্পের মোট খরচ ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে সরকার ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ডলার দেবে। প্রকল্পটি ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল নাগাদ বাস্তবায়ন করা হবে। এতে জানানো হয়, ম্যানিলায় অবস্থিত এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পরিবেশগতভাবে টেকসই উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক ইন্টিগ্রেশন মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য কাজ করছে। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি এই অঞ্চলের উন্নয়ন সহযোগিতার ৫০ বছর উদযাপন করছে।
এমএ/এমআরএম/আইআই