সপ্তাহ জুড়ে ডিএসইতে দরপতন : কমেছে পিই রেশিও

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১২ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে ১৬ দশমিক ৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, শেয়ারবাজারে নিয়ম ভেঙে বিনিয়োগ করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে সম্প্রতি ৭ ব্যাংককে জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংক খাতের পাশাপাশি অন্য খাতের প্রতিষ্ঠানেরও শেয়ারের দরপতন হয়। যার প্রভাব পড়েছে পিই রেশিওতে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেনের মধ্যে একদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও অন্য চারদিন দরপতন হয়েছে। আর বাজার নেতিবাচক থাকায় সব ধরনের মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। এতে পিই রেশিও কমে গেছে।

তবে পিই রেশিও ১৫ এর ঘরে বা তার নিচে থাকলে বিনিয়োগ নিরাপদ বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।

সূত্র মতে, বর্তমানে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে যার অবস্থান ছিল ১৬ দশমিক ৫২ পয়েন্ট। সে হিসেবে আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে দশমিক ২২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই অবস্থান : সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে করছে ১১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৫ দশমিক ৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২৩ দশমিক ৫ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২৬ দশমিক ৩ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১২ দশমিক ৭ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৩ দশমিক ৮ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৬ দশমিক ৫ পয়েন্টে।

এ ছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ২৩ দশমিক ৭ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ২৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট, এনবিএফআই খাতে ২১ দশমিক ১ পয়েন্ট, কাগজ খাতে মাইনাস ৪৫ দশমিক ৪ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২০ দশমিক ১ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতে ১৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট, চামড়া খাতে ১৯ দশমিক ১ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৮ দশমিক ৪ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ২৩ দশমিক ৯ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২০ দশমিক ৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এসআই/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।