চাল ও আটার এলসি বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৩ এএম, ০৫ অক্টোবর ২০১৭
ফাইল ছবি

গত দু’মাসে বিভিন্ন পণ্যে ঋণপত্র খোলা (এলসি) ও নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। এর মধ্যে চাল ও আটা আমদানির জন্য এলসির পরিমাণ বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতেও বেড়েছে এলসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ব্যয়ের বিবেচনায় এলসি খোলার হার বেড়েছে ৫৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে নিষ্পত্তির হার বেড়েছে ৩১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি এলসি খোলা হয়েছে চাল, আটা ও মূলধনি যন্ত্রপাতির।

সম্প্রতি চাল আমদানির জন্য শুল্কহার ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। এমনকি পাটের বস্তা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে চড়া দামে চাল ও আটা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাজারে চাল সংকটের অজুহাতে ব্যাপকভাবে দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় চাল ও আটাসহ নিত্যপণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের নানাভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই ও আগস্টে মোট এক হাজার ১২৬ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৯৪২ কোটি ডলারের। এর মধ্যে চাল ও আটার এলসি ছিল ৭৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে নিষ্পত্তি হয়েছে ৩১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার সমপরিমাণ এলসির। যা গত বছরে একই সময়ের তুলনায় ১৬৮ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি।

এ সময়ে বিভিন্ন মূলধনি যন্ত্রপাতির জন্য ১৮৪ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আর নিষ্পত্তি হয়েছে ১৮৯ কোটি ডলার। পর্যায়ক্রমে যা ১৮৯ দশমিক ৫৫ ও ৩৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।

সাম্প্রতিক সময়ে রফতানি ও রেমিট্যান্সে যে পরিমাণ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে তার চেয়ে বেশি হারে আমদানি বাড়ছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়ে ডলারের দাম বাড়ছে। গত এক বছরে আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারে ২ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে ৮০ টাকা ৮০ পয়সায় উঠেছে।

এমএ/এসআই/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।