শহরাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ বিশ্বব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৭

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে দ্রুতগতিতে নগরায়ন হচ্ছে। তবে শহরগুলো অপর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং নিম্নমানের শহুরে সেবা প্রদান করে আসছে, বিশেষ করে জেলা শহরে এবং পৌরসভায়। এ অবস্থায় শহরাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একটি ’সেন্টার অব এক্সেলেন্স ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে নাগরিকদের জীবন উন্নত করতে সহযোগিতা ও স্থানীয় সংস্থাগুলোকে সমর্থন করবে। বুধবার বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের চারটি পেশাদার প্রতিষ্ঠান- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস অব বাংলাদেশ (আইএবি), ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) এবং বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (এমএইচবি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংক জানায়, নগর উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিইইউডি) জন্য একটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বহু বছরের পুঁজি বিনিয়োগ পরিকল্পনা (সিআইপি) তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলো সহায়তা করেছে। এখন পর্যন্ত ৩১ জন স্থানীয় সরকার এই প্রকল্পের অধীনে সিআইপি প্রস্তুত করেছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কার্যনির্বাহী ব্যবস্থাপক রাজশ্রী পাললকার বলেন, অনির্দিষ্টভাবে এবং দ্রুত নগরায়নের ফলে শহরে বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহুরে শাসন চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতিক্রিয়াতে এই কাঠামোটি শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলো শক্তিশালী, প্রতিক্রিয়াশীল এবং সমন্বিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করবে, যা উন্নত নগরের সেবা প্রদান করতে সক্ষম।

বিশ্বব্যাংক নগর স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সিইইউডি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে। পরিবর্তে সিইউডি সহযোগী জ্ঞান ভাগ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে নগর স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর শহুরে ব্যবস্থাপনা ক্ষমতা উন্নত করতে পাবলিক এবং প্রাইভেট সেক্টর থেকে মূল অংশীদারদের একত্রিত করবে। এটি শহুরে স্থানীয় সরকারগুলোর একটি তরুণ পেশাদার ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম শুরু করবে।

বিশ্বব্যাংক সিইউডি বাস্তবায়ন করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) বিশ্বব্যাংকের সিউডের কারিগরি সহায়তার জন্য ৩ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে। চলমান মিউনিসিপাল গভর্নেন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রজেক্ট (এমজিএসপি) এবং তৃতীয় স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের উদ্দেশ্য সমর্থন করেছে।

বিশ্বব্যাংক জেলা শহরে এবং পৌরসভার মধ্যে পৌর শাসন এবং মৌলিক শহুরে সেবা উন্নত করতে ৪১০ মিলিয়ন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেনি এলজিপি ৩-এর জন্য। বিশ্বব্যাংক ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা দখলের জন্য ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি প্রতিশ্রুতি দেয়, সর্বনিম্ন স্তরের স্থানীয় সরকারগুলো, ডিভিশন ফান্ডগুলো যার মাধ্যমে সম্প্রদায়গুলো স্থানীয় উন্নয়নের অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য বিশ্বব্যাংক প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে ছিল। তখন থেকে বিশ্বব্যাংক দেশকে ২৬ বিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং সুদমুক্ত ক্রেডিট জমা দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাংকের সুদমুক্ত ক্রেডিটগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বাধিক প্রাপক।

এমএ/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।