১০ লাখ রোহিঙ্গাকে খাবার দিতে পারব : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়টি মানবিক ইস্যু। নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবনের ভয়ে পালিয়ে আশা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। দেশের ১৭ কোটি মানুষকে খাবার দিতে পারলে ৫-১০ লাখ রোহিঙ্গাকেও খাবার দিতে পারব।

রোববার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ডাটাসফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেড ও স্মার্ট লাইফ কোম্পানি লিমিটেড, জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি, খাদ্যও দেব। যেমনে ১৯৭১ সালে আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল ভরত।

‘রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন দেখে খুবই কষ্ট হয়। জীবনের ভয়ে পালিয়ে আশার সময় নিষ্পাপ শিশুও মারা গেছে। মৃত শিশুটিকে নিয়ে তার মা চুমু খাচ্ছেন আর কাঁদছেন। খুব কষ্টদায়ক’।

মিয়ানমার সেনাপ্রধানের কড়া সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তারা বলছেন কাউকে ফেরত নেবে না। কেন নেবে না? রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে কয়েকশ বছর ধরে বসবাস করছে। আরাকানে মুসলমানরা দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছে।

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি রাখাইনে শিল্প পার্ক করবে মিয়ানমার সরকার। ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণে এ অমানবিক আচরণ। বিশ্বের মানুষের বিবেক থাকলে এ নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

বর্তমান চালের সংকট প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালানো হচ্ছে। অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে জেটরো (jetro) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ দাইসুকে আরাই, বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার, আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের প্রথম সিএমএমআই লেভেল ৫ অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) অগ্রদ্রুত ডাটাসফট, জাপানের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ওশানাইজ ইনকর্পোরেশনের অঙ্গ সংগঠন স্মার্ট লাইফ কোম্পানি লিমিটেডকে আইওটি টেকনোলজি সলিউশনস দিতে যাচ্ছে।

স্মার্ট লাইফের ব্যবস্থাপনায় জাপানের টোকিওতে প্রায় ১০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। অত্যাধুনিক এ অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে আইওটি টেকনোলজির মাধ্যমে স্মার্ট এবং ফিউচারিসটিক ডিভাইসের সাহায্যে জীবনযাত্রা আরও সহজ, সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক করে তুলবে ডাটাসফট। এ ঘটনা বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে একটি অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। আইওটি সমৃদ্ধ স্মার্ট হোমগুলোতে ডাটাসফট স্মার্ট একসেস কন্ট্রোল ও সিকিউরিটি সিস্টেম, ইউটিলিটি ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম, হেলথ মনিটরিং সিস্টেমসহ আরও অন্যান্য সার্ভিস নিয়ে কাজ করবে।

ডাটাসফটের সিও ও পরিচালক মনজুর মাহমুদ এবং হেড অফ আইওটি সামি আল ইসলাম ডাটাসফটের স্মার্ট হোম প্রজেক্টগুলোর ফিচার উপস্থাপন করেন।

এসআই/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।