বর্তমান সরকারের আমলেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এফটিএ : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে ‘জয়েন্ট স্টাডির টার্মস অব রেফারেন্স’ ঠিক করা হয়েছে। সে মোতাবেক প্রস্তুতি চলছে।
শ্রীলঙ্কা সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার কলম্বোতে দেশটির ডেভলপমেন্ট স্ট্রাটেজিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মিনিস্টার মালিক সামারাউইকরামার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
এ সময় শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এবং শ্রীলঙ্কার ডেভলপমেন্ট স্ট্রাটেজিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ মনে করে, শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ, কাগজ, সিমেন্ট, টিন, এমএস রড ও কৃষি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার আরোপিত ট্যারিফ ও প্যারা-ঠ্যারিফের হার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে এ সব পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও দু’দেশের বাণিজ্য খুবই কম। এ মুহূর্তে উভয় দেশের বাণিজ্য ৮০ থেকে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে। এ বাণিজ্য অনেক বেশি হতে পারতো। বাংলাদেশ আশা করছে, এফটিএ স্বাক্ষর হলে উভয় দেশের বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
বাংলাদেশ রফতানি বৃদ্ধি করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে বাংলাদেশের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বাংলাদেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে।
এমইউএইচ/এনএফ/জেআইএম