মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার মুক্ত রাখার দাবি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে কিছুদিন মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকররা নীরব থাকলেও বর্তমানে আবার তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই অবিলম্বে মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দন আহমেদ এক বিবৃতে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, হ্যাকাররা এ কাজে প্রথমত সিম ক্লোনিং করে গ্রাহকের সব তথ্য সংগ্রহ করে সুরেলা কণ্ঠের নারীদের ব্যবহার করে গ্রাহককে ফোন করে বলছে, আমি বিকাশ অফিস থেকে বলছি। স্যার আপনার নাম কি ওমুক? আপনি সর্বশেষ কবে লেনদেন করেছেন? আপনার অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। আপনি কি জানেন আমাদের সার্ভিস চার্জ কমানো হয়েছে? আপনি যদি অ্যাকাউন্টটি চালু করতে চান তা হলে এক চাপুন আর যদি সার্ভিস চার্জ কমাতে চান তাহলে দুই চাপুন।
এমন কথা শুনে যদি কোনো গ্রাহক এসব বাটন চেপে থাকে তা হলে ওই গ্রাহক সর্বশান্ত হয়েছেন। এ রকম অনেক গ্রাহক সর্বশান্ত বা প্রতারিত হয়ে বিকাশের সার্ভিস সেন্টার এবং আমাদের কাছেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি এ ধরনের হ্যাকারদের উৎপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আমাদের ধারণা। গত সপ্তাহে আমার ফোনেও এ ধরনের একটি কল আসে। আমি তৎক্ষণাৎ বিকাশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করি।
তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা উত্তরে আমাকে জানালেন, গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট যদি বন্ধই হয় তাহলে গ্রাহকরা আমাদের অফিসে যোগাযোগ না করে ওই হ্যাকারের কথামতো কাজ করলে সর্বশান্ত হবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি এই হ্যাকাররা মূলত টার্গেট করেছে কোরবানির ঈদের পশু কেনাবেচার বাজারকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহে গ্রাহকসেবা বলে কিছু না থাকা এবং লেনদেনে অ্যাকাউন্ট থাকা ও ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করার ফলে গ্রাহকরা বাণিজ্যিক ব্যাংকে না গিয়ে উচ্চমূল্যের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসি, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানসমূহ সর্বপরি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান থাকবে অতিদ্রুত মোবাইল ব্যাংকিংকে হ্যাকার মুক্ত রাখুন। সেইসঙ্গে প্রতিটি পশুর হাটে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব ব্যাংকিং সার্ভিস সেন্টার চালু করা। আমরা গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে চাই অযাচিত কোনো ফোন রিসিভ করা বা কারও নির্দেশে বাটন চাপা থেকে বিরত থাকুন।
এফএইচএস/বিএ/জেআইএম