জুলাইয়ে ৩৭ কোটি ডলার বৈদেশিক সহায়তা ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৭

উন্নয়নে দাতাদের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রায় ৩৭ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ ছাড় করেছে দাতারা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই মাসে ছাড় হয়েছিল মাত্র ১২ কোটি ২৩ লাখ ডলার।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাইয়ে ঋণ ও অনুদান মিলে মোট ছাড় হয়েছে ৩৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এ অর্থ ছাড়ের পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বেশি।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন বলেন, দেশে এখন অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাড়াতে এবার সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। তাই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি বাড়াতে ছাড়ও হয়েছে বেশি। অর্থ ছাড়ের এ হার অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত থাকবে বলে আশা করছেন তিনি।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে মোট বৈদেশিক অর্থ ছাড়ের মধ্যে ঋণ হিসেবে ছাড় হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। এ সময়ে অনুদান ছাড়ের পরিমাণ ১৩ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, আর অনুদান ছাড় হয় ১৫ লাখ ডলারের।

তবে জুলাই মাসে দাতাদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায় করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ইআরডি কর্মকর্তারা। এ সময়ে মাত্র ৩ কোটি ২৭ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দাতারা। আর এ প্রতিশ্রুতি মিলেছে অনুদান হিসেবে, অর্থাৎ জুলাই মাসে দাতাদের কাছ থেকে ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতি আসেনি।

গত অর্থবছরের প্রথম মাসেই ১ হাজার ১৬৭ কোটি ৯১ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল ইআরডি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ১৩৩ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় প্রতিশ্রুতির পরিমাণ বাড়ে।

ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরে মোট ৫৫৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি ডলার।

গত অর্থবছরে দাতাদের কাছ থেকে ৪১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার বৈদেশিক সহায়তা ছাড়ের লক্ষ্য ছিল সরকারের। কিন্তু প্রাথমিক হিসাবে এখন পর্যন্ত দাতাদের অর্থ ছাড় হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দাতাদের অর্থ ছাড় হয় ৩৫৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। ওই সময়ে প্রতিশ্রুতি এসেছিল ৭০৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

এদিকে সরকার চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে সুদ ও আসল বাবদ বিভিন্ন দাতা সংস্থাকে পরিশোধ করেছে ১২ কোটি ৪১ ডলার। এর মধ্যে আসলের পরিমাণ ১০ কোটি ১২ লাখ ডলার। সুদ পরিশোধ হয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ডলার।

এমএ/জেডএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।