প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০, খাসি ২০
কোরবানির পশুর চামড়ার সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছেন। ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা ও ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৪০ থেকে টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকা ও বকরির চামড়া ১৫-১৭ টাকায় সংগ্রহ করা হবে।
চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারির মালিকদের নিয়ে আজ রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ দাম নির্ধারণ করেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বরাত দিয়ে মন্ত্রী জানান, এ বছর মোট কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এক কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার। এর মধ্যে কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল ভেড়া ৭১ লাখ। ব্যবসায়ীদের দাবির কারণে কাঁচা চামড়া ঢাকা জেলার বাইরে যেতে পারবে না বলেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, চামড়াকে ইয়ার অব দ্য প্রোডাক্ট ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে চামড়া খাতকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্যানারি শিল্প হাজারিবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরের জটিলতায় সেটি হবে না। তবে আমরা আশা করছি অন্তত ৩ বিলিয়ন ডলার আয় করবো। এ বছর চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে ১.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছি।’
তিনি বলেন, চামড়া যেন নষ্ট না হয় এজন্য ৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানির নির্দেশ দিয়েছি। লবণের ঘাটতি ৩ লাখ টন। কিন্তু আমদানির অনুমতি দিয়েছি ৫ লাখ টন। ২৩২টি লবণ মিল মালিকের প্রত্যেককে ২ হাজার ১১৬ টন করে লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
চামড়া পাচার রোধে মন্ত্রী বলেন, ঈদের পর থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত বিশেষ নজরদারি থাকবে। সীমান্ত এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি (বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ) এ নজরদারিতে থাকবে। এবারে কোনোভাবেই চামড়া পাচার করতে দেয়া হবে না।
এমইউএইচ/বিএ/আইআই