যে রান্নাঘরে তৈরি হবে লাখো মানুষের খাবার

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০১৭

বাঁচার জন্য খাবার প্রয়োজন। কিন্তু ভেজাল আর অধিক দামের কারণে এ খাবার যেন ভোগান্তির নাম হয়েছে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার অফিস, আদালত ও ব্যাংকপাড়ার কর্মজীবী মানুষ দুপুরের খাবারের ক্ষেত্রে বেশি সমস্যায় পড়েন। আর এসব কর্মজীবীদের কথা চিন্তা করে কম দামে স্বাস্থ্যকর গরম খাবার পৌঁছে দিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে এশিয়ার সবচেয়ে বড় রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছে রাজধানী ঢাকায়।

‘খান’স কিচেন’ নামের এ রান্নাঘরে প্রতিদিন চলবে লক্ষাধিক মানুষের রান্নাযজ্ঞ। হাতের স্পর্শ ছাড়াই মেশিনেই হবে রান্নার কাজ। তাই ‘খান’স কিচেন’ রাজধানীর কর্মজীবীদের বাড়ির গরম খাবারের স্বাদের অভাব ঘোচাবে এমনটাই দাবি কর্তৃপক্ষের।

BPP

রাজধানীর নতুন বাজারের পূর্বপাশে বেরাইদ এলাকায় বেসরকারিভাবে এশিয়ার এ বড় রান্নাঘরটি প্রতিষ্ঠা করেছেন নারী উদ্যোক্তা আফরোজা খান।

নতুন এ উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আফরোজা খান জাগো নিউজকে বলেন, সবসময় ইচ্ছে ছিল নতুন কিছু করার। সেই ইচ্ছে থেকেই এ কিচেন করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। তিন বছর এ বিষয়ের ওপর বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়েছি। এরপর স্বামী আলী আহম্মদ খানের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি তৈরির উদ্যোগ নেই। আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন, শিগগিরই খাবার সরবারহ শুরু করব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ টনি খান প্রাতিষ্ঠানটির সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বলেনও জানান তিনি।

আফরোজা খান বলেন, ঢাকা হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম জনবহুল নগরী। যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে সাড়ে ৪৪ হাজার লোক বসবাস করেন, যার অধিকাংশ মধ্যবিত্ত কর্মজীবী মানুষ। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ ভোগেন পেটের পীড়ায়; যার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার। এসব মানুষের স্বাস্থের কথা চিন্তা করেই আমাদের এ উদ্যোগ।

BPP

‘খান’স কিচেন’ শুধু মানসম্পন্ন খাবার উৎপাদনেই নয়, হাজারও যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে বলে জানান তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আলী আহম্মদ খান বলেন, জার্মান প্রযুক্তিতে এশিয়ার সর্ববৃহৎ খাবার প্রস্তুত প্রতিষ্ঠান ‘খান’স কিচেন’। খাবার উৎপাদন পদ্ধতিতে আমরাই সর্বপ্রথম ব্যবহার করছি বিশ্বের খাবার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের সর্বাধুনিক পদ্ধতি ফোর্থ জেনারেশনের হাই ইফিসিয়েন্সি ক্লাসিফায়ার প্রযুক্তি। এছাড়া আমরা নিশ্চিত করেছি স্টিম ইনজেকশন সিস্টেম, অ্যাপেক্সি ফ্লোর এবং ইলেকট্রিক পদ্ধতিতে পরিবেশবান্ধব রান্না।

খাবার তৈরিতে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু, পুষ্টিকর, জীবাণুমুক্ত ও সতেজ রুচিসম্মত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং টাটকা গরম খাবার।

‘খান’স কিচেন’ আকর্ষণীয় ডিজাইনে সর্বশেষ প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করে খাবার বাক্স, যা বাইরের আর্দ্রতা থেকে খাবারকে রাখে সুরক্ষিত এবং টাটকা এবং পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় গরম রাখে।

BPP

সর্বোচ্চ মানের কাঁচামাল, উৎপাদনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, কম্পিউটারাইজড ল্যাবরেটরি, নিজস্ব প্যাকেজিং ইউনিটের আধুনিক ব্যবহারে নিশ্চিত করে শগভাগ গুণগত মান। নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাবার সরবারহ করা হবে রাজধানীর ঢাকায় যেকোনো স্থানে।

ডাল, ভাত, সবজি, মাছ বা মাংসের সঙ্গে থাকবে ডেজার্ট বা মিষ্টান্ন খাবার। যার মূল্য পড়বে ৯৫ টাকা। ১৬৫২০ নম্বরে ফোন করলেই গ্রাহক পাবেন এসব খাবার।

এসআই/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।