চট্টগ্রাম ওয়াসাকে ৩৮০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, চুক্তি কাল
চট্টগ্রামে পানি, স্যানিটেশন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৮০ কোটি টাকার অতিরিক্ত সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। চার কোটি ৭৫ লাখ ডলারের বাড়তি এ ঋণ আগেই অনুমোদন করেছিল বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভা। রোববার এনিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঋণ চুক্তি সম্পাদন হবে। এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামের সাড়ে ছয় লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, ‘চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নে এই বাড়তি অর্থায়ন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা এই প্রকল্পের মাধ্যমে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, পানি সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর উন্নয়ন করবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শহরে মাত্র অর্ধেক জনগোষ্ঠী পাইপ লাইনে পানির সুবিধা পাচ্ছেন। তা ছাড়া স্যানিটেশন এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত নয়। চট্টগ্রামের এই চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাংকও তাদের সহায়তা বাড়াচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে শহুরে বস্তি এলাকাও সুবিধা পাবে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে মধুনাঘাট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং পতেঙ্গা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এর সঙ্গে কালুরঘাট পানি সঞ্চালন ব্যবস্থা উন্নয়ন করা হবে। বাড়তি এই অর্থায়নের মাধ্যমে নতুন করে ১০ হাজার পাইপ লাইনে পানির সংযোগ স্থাপন করা হবে এবং ১৭ হাজার সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হবে।
বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সাড়ে ছয় কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি সুবিধার আওতায় চলে এসেছে। এরপরও শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বেড়ে চলছে। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে শহরাঞ্চলের পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ, প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য থাকলেও ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাড়তি এই ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এই প্রকল্পে সর্বমোট ২১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ৩৬ বছরে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
এমএ/বিএ/জেআইএম