সবজি-ফুল-চিনি উৎপাদনে মিলবে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৭

ফুল, সবজি, চিনি ও অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় পণ্য উৎপাদনকে কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্য উৎপাদনকারীরা সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ পাবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক সংশোধিত সার্কুলার জারি করেছে। এতে আগের ৩৭ শিল্প খাতের সঙ্গে নতুন করে তিনটি খাতকে কৃষিভিত্তিক শিল্পের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

নতুন খাত তিনটি হল: চিনি ও অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প, সয়াফুড উৎপাদন ও সয়াবিন প্রসেসিং শিল্প, হর্টিকালচার, ফ্লোরিকালচার, ফুলচাষ, ফুল ও শাকসবজি বাজারজাতকরণ ( লেবু, মাশরুম, পান, মধু ইত্যাদি এ শিল্পের অন্তর্ভুক্ত)।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, কৃষিজাতপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিত্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম, কৃষিভিত্তিক শিল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা (নারী উদ্যোক্তাসহ) এবং কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতে নতুন উদ্যোক্তা এবং ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক অর্থায়নের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল সংশ্লিষ্ট কৃষিভিত্তিক শিল্পের নতুন এ তালিকা করা হয়েছে। নতুন তিনটি খাত অন্তর্ভুক্ত করায় এ তিন খাত ও পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় এসেছে।

এর আগে থেকে প্রক্রিয়াজাত ফলজাতীয় খাদ্য (জ্যাম, জেলি, জুস, আচার, সস ইত্যাদি) উৎপাদনকারী শিল্প; ফল (টমেটো, আম, পেয়ারা, ইক্ষু, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, নারিকেল ইত্যাদি), শাক-সবজি ও ডাল প্রক্রিয়াকরণ; ব্রেড ও বিস্কুট, সেমাই, লাচ্ছা, চানাচুর, নুডলস ইত্যাদি প্রস্তুত, আটা, ময়দা, সুজি প্রস্তুতকরণ, মাশরুম, স্পিরুলিনা প্রক্রিয়াকরণ, স্টার্চ, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ এবং অন্যান্য স্টার্চ পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প; দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ, আলু থেকে নানা ধরনের খাদ্য প্রস্তুত, হারবাল ও ইউনানি ওষুধ প্রস্তুত, কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরি চা প্রক্রিয়াকরণ, ফুল সংরক্ষণ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন, পাটজাত পণ্য প্রস্তুত, জৈব সার তৈরি, মৌমাছি, মাশরুম ও রেশম চাষ, কাঠ, বাঁশ ও বেতের আসবাব তৈরিসহ ৩৭ খাতকে ঋণ সহায়তা দেয়া হয়।

উল্লেখ, ২০০১ সালে ১৫০ কোটি টাকা নিয়ে 'কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিক্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম' নামে এ তহবিল গঠন করা হয়।

এসআই/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।