বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে জাপান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৭

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরে এ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) একটিতে জাপানের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াটানাবের সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, দশ বছর আগে ইপিজেডে জাপানের ৩৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ছিল, এখন সেখানে ৩৫০টি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। জাপান বাংলাদেশকে অস্ত্র ও হ্যান্ড গ্লোভস ছাড়া সকল পণ্য রফতানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর বাংলাদেশ জাপানে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১ দশমিক ০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জাপানে। কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল জাপান সফর করবে।

তিনি আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে দেশটি সহযোগিতা করেছে। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। জাইকা বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এখানে শতভাগ মূলধন বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বিনিয়োগকারী মূলধন ও লাভ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। সরকার আইন করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ জাপানের ভালো বন্ধু। আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। জাপানের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করবে তারা।

এমইউএইচ/ওআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।