আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি ব্যাংক এশিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৫ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৭

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া দুই বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে যে পরিমাণ আয় করছে, ব্যয় করেছে তার থেকে বেশি। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করার কারণে প্রতিষ্ঠানটির নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো বা পরিচালন নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত চলতি বছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন) আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিপিএস) দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৭ টাকা ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে এই ব্যাংকের আয়ের তুলনায় ৭ টাকা ৩৬ পয়সা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।

২০১৬ সালের প্রথমার্ধেও কোম্পানিটি আয়ের তুলনায় বেশি ব্যয় করে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ ছিল ঋণাত্মক ১২ টাকা ৭ পয়সা। সে হিসাবে চলতি বছরে ব্যাংক এশিয়ার অতিরিক্ত ব্যয়ের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

এদিকে, পরিচালন নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক অবস্থায় থাকলেও চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংক এশিয়ার শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে প্রায় চারগুণ হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪২ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০ পয়সা। সে হিসাবে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৩২ পয়সা বা ৩২০ শতাংশ।

দ্বিতীয় প্রান্তিকের মতো চলতি বছরের প্রথমার্ধেও (জানুয়ারি-জুন) প্রতিষ্ঠাটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে। জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৭ পয়সা। যা ২০১৬ সালের একই সময়ে ছিল ২৮ পয়সা।

আয় বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিটির নিট সম্পদ মূল্যের (এনএভি) পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮৪ পয়সা। যা ২০১৬ সালের ৩০ জুন শেষে ছিল ১৭ টাকা ৭১ পয়সা।

এমএএস/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।