বেসরকারি খাতের ৮ মিল ফিরিয়ে নিলো সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৭

হস্তান্তর চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় ও মিলের উৎপাদন বন্ধ রাখায় বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া ৮টি মিল পুনঃগ্রহণ (টেক ব্যাক) করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। মিলগুলোর মধ্যে ৪টি পাটকল ও ৪টি বস্ত্রকল।

বৃহস্পতিবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এসব মিল পুনঃগ্রহণের কারণ হিসেবে বলা হয়, মিল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে মিল পরিচালনা না করে বন্ধ অবস্থায় ফেলে রেখেছে। এতে হাজার-হাজার শ্রমিক-কর্মচারী তাদের কর্মসংস্থান হতে বঞ্চিত রয়েছেন। ফলে মিল হস্তান্তরের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে এবং হস্তান্তর চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে।

সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত দ্বি-পাক্ষিক ও ত্রি-পাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী সরকার, বিজেএমসি, বিটিএমসি ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধের জন্য বারবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও পরিশোধ করেনি।

এদিকে, শেয়ার মূলধনের অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের জন্য বারবার চিঠি দেওয়া হলেও মিলের ক্রেতারা ওই অর্থ পরিশোধ করেনি। সরকার ও সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় পাওনা পরিশোধের পূর্বে মিলের কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সরকারের অনুমতি ছাড়া বিক্রি ও হস্তান্তর না করার চুক্তি থাকলেও মিলের যাবতীয় মেশিনারিজ ও স্থাপনা সরকারের অজান্তে বিক্রি করে চুক্তি ভঙ্গ করা হয়েছে।

কিন্তু শিল্পনীতির শর্ত প্রতিপালন করে সরকার ও কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পাদিত দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি এবং বিজেএমসি ও বিটিএমসি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত হস্তান্তর চুক্তিমূলে মিল গ্রহীতারা মিলের বিপরীতে সরকার ও সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের যাবতীয় দায়-দেনা পরিশোধ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে মিলগুলো ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।

পুনঃগ্রহণকৃত মিলগুলো হলো- নরসিংদীর পলাশে ফৌজি চটকল জুট মিলস লিমিটেড, মাদারীপুর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কোকিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মাদারীপুরের এ আর হাওলাদার জুট মিলস লিমিটেউ, চট্টগ্রামের ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলস ও ফৌজদারহাটের জলিল টেক্সটাইল মিলস, ঢাকা জুট মিলস লিমিটেড এবং গাউছিয়া জুট মিলস লিমিটেড।

এমইউএইচ/এসআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।