স্যাটেলাইট তথ্যে কৃষকের আয় বাড়বে ২০ শতাংশ
স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষককে ফসলের রোগ-বালাই, আবহাওয়া পরিস্থিতি ও শস্যের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াতে করণীয় বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়া গেলে কৃষকের উৎপাদন বাড়বে ১৫ শতাংশ। শস্যের ক্ষতি কমবে ৩৫ শতাংশ। এতে করে কৃষকের আয় ২০ শতাংশ বাড়বে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং ফার্মারস থ্রো অ্যাডভান্সড ইনফরমেশন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই), এসিআই লিমিটেড ও নেদারল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসএনভি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
এসিআই এগ্রি-বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ফা হ আনসারীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. গোলাম মারুফ।
সেমিনারে জানানো হয়, ইনটেলিজেন্ট ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম (আইডিএসএস) শীর্ষক প্রকল্পে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১২ জেলার প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার কৃষককে পাঁচটি বিষয়ের ওপর কার্যকর এ তথ্য সেবা দেয়া হবে। আইডিএসএস শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এসএনভি, এসিআই লিমিটেড, ডিএই ও নেদারল্যান্ড স্পেস অফিস।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিএসএস প্রকল্পের টিম লিডার শামীম মুরাদ।
তিনি বলেন, একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই এগ্রোনোমিক প্র্যাকটিসের সব বিষয়ে সঠিক তথ্য নিতে পারবেন। আদ্রতা বা আবহাওয়ার পরিবির্তিত পরিস্থিতিতে শস্যে কোন ধরনের রোগ আক্রমণ করতে পারে, ফসলের উৎপাদন কখন কী পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে ডিএই সঠিক পূর্বাভাস দেবে। এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিশেষ করে কখন বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা বা অনান্য প্রতিকূল পরিস্থিতির বিষয়ে সঠিত তথ্য পাবেন কৃষক।
ফসলের রোগের ক্ষেত্রে করণীয় ও শস্য উৎপাদনে আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণের তথ্য পেতে পারবেন কৃষক। আর এসব সেবা কৃষকরা বিনামূল্যে গ্রহণ করবেন।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশের ১২টি জেলায় পাইলট আকারে এ কর্মসূচির মাধ্যমে ২০১৮ সালেই একটি কার্যকর অ্যাপস দেয়া সম্ভব হবে।
১২ জেলা হলো-
পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, নওগা, রংপুর, দিনাজপুর, কক্সবাজার, খুুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা।
ড. ফা হ আনসারী বলেন, স্যাটেলাইট তথ্য ও আবহওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষককে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও দিক নির্দেশনা দিতে সক্ষম হবেন সরকারি ও বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ কর্মীরা। এতে কৃষকের উৎপাদনশীলতা বাড়লে সার্বিক উৎপাদন বাড়বে। ফলে তখন কৃষক কম দামে শস্য বিক্রি করেও লাভবান হতে পারবেন। আর অন্য ফসল আবাদের জন্য জমি বের করতে পারবেন।
সামনের দিনে তথ্য উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারলেই কৃষকের জন্য মঙ্গল বয়ে আনা সম্ভব। দেশের ৮০ শতাংশ কৃষকের কাছে এ তথ্য পৌঁছাতে কাজ করছে এসিআই।
এমএ/জেডএ/আরআইপি