প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ একটি অপদার্থ প্রতিষ্ঠান : অর্থমন্ত্রী
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বয়স ৬০ বছর ছাড়িয়েছে। এত বছর পরও কোম্পানিটি নিজস্বভাবে শুধু গাড়ি রঙ করতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো গাড়ি উৎপাদনে যেতে পারেনি। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে অপদার্থ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের বিষয়ে আলোচনার সময় অর্থমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, অর্থ মন্ত্রণলয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আলোচনায় উঠে আসে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের বয়স ৬০ বছর অতিক্রম করেছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদনে যেতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বাইরে থেকে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি করে শুধু সংযোজন করে। তাদের নিজস্ব সক্ষমতা বলতে তারা শুধু গাড়ি রঙ করতে পারে।
তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি জাপানের মিতসুবিশি মোটরস কর্পোরেশনের মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের পাজেরো স্পোর্টস মডেলের নতুন সংস্করণের গাড়ি সংযোজনের জন্য চুক্তি করেছে। এ চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সাল পর্যন্ত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি একটি অপদার্থ প্রতিষ্ঠান। ৬০ বছরেও তারা কোনো গাড়ি উৎপাদন করতে পারেনি। তারা মিতসুবিশি মোটরস কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবেও যদি গাড়ি উৎপাদনে যেতে না পারে তাহলে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
এমইউএইচ/এএইচ/জেআইএম