ডিএসইতে ২২ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এদিন মূল্যসূচকের সঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
আজ প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন কমে ২২ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে। এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিনই ডিএসইতে দরপতন হয়েছিল।
রোববার ডিএসইর প্রধানসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় কমেছে ৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে আজ সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স কমেছে ১৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে আগের দিন এ সূচক বেড়েছিল ৫ পয়েন্ট।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪শ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। রোববার ডিএসইতে মোট ৪৭৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্য দিবসে (বৃহস্পতিবার) লেনদেন হয়েছিল ৬৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে আজ লেনদেন কমেছে ১৫৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
এর আগে গত ১৮ জুন ডিএসইতে ৪৭৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপর রোববারের আগ পর্যন্ত ডিএসইতে আর ৫শ কোটি টাকার নীচে শেয়ার লেনদেন হয়নি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। প্রথম দুই ঘণ্টা মূল্যসূচক টানা ঊর্ধ্বমুখীই ছিল। তবে শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে এই সূচক।
এদিন লেনদেনের প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর টানা ঊর্ধ্বমুখীতার কারণে বেলা ১০টা ৪৩ মিনিটে ডিএসইএক্স বাড়ে ১৫ পয়েন্ট। বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে বাড়ে ১৬ পয়েন্ট।
এরপর সূচক কিছুটা নিম্নমুখী হলেও দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের আগ পর্যন্ত ধনাত্মকই ছিল ডিএসইএক্স। তবে দুপুর ১টার পর থেকে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকায় টানা নিম্নমুখী হতে থাকে মূল্যসূচক।
দুপুর ১টায় ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর দুপুর ২টায় কমে ৫ পয়েন্ট। আর দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
রোববার প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে অপর দুটি সূচকও। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১১ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছ ১৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
টাকার অংকে ডিএসইতে আজ সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের শেয়ার। এদিন প্রতিষ্ঠানটির মোট ২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ২১ লাখ টাকার। আর ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাভানা সিএনজি।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, রতনপুর রি-রোলিং মিলস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আমান ফিড, কনফিডেন্স সিমেন্ট, সিমটেক্স এবং এসিআই ফরমুলেশন।
রোববার অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮২৪ পয়েন্টে। বাজারটিতে আজ মোট ২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট।
এদিন সিএসইতে মোট ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে আগের কার্যদিবসের তুলনায় দাম বেড়েছে ৮৭টির। অপরদিকে কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দাম।
এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম