লক্ষ্যমাত্রার ১৯ শতাংশ বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪২ এএম, ২২ জুলাই ২০১৭

সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী খাতে ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বিভিন্ন কারণে ব্যাংকগুলো অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারছে না। আর সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতে সুদহার কমে আসায় ব্যাংকগুলো কৃষিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে এ খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বছরের শুরুতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিজেরা নির্ধারণ করে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা ব্যাংকগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক। আর ব্যাংকগুলোর দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ না হলে জরিমানারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জোর তত্পরতা এবং ব্যাংকগুলোর উদ্যোগের কারণেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে সরকারি  খাতের ৮ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৯ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। যদিও সরকারি খাতের বিডিবিএল ৫০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংকের বিতরণ হয়েছে ৯৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বাকি ৬ ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ দেয়ায় সামগ্রিক পরিস্থিতি ইতিবাচক হয়েছে।

বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য ৮ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এ সব ব্যাংক ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। হার দাঁড়িয়েছে ১৩৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। যদিও বিদেশি মালিকানার ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এক টাকাও কৃষি ঋণ দেয়নি। 

এ ছাড়া নতুন অনুমোদিত ফারমার্স ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। মধুমতি ব্যাংক বিতরণ করেছে ২২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৭২ শতাংশ এবং ইউনিয়ন ব্যাংক বিতরণ করেছে ৩২ শতাংশ ঋণ। এ ছাড়া অন্য সব ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে।

আর সব মিলিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ বিতরণের হার দাঁড়িয়েছে ১১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এ দিকে বর্গাচাষীদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঅর্থায়ন তহবিল থেকে ৫৬২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে নির্ধারিত এনজিওগুলো। এ ছাড়া বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কৃষি খাতে ৮৬৬ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে কৃষক ও পল্লী অঞ্চলের মানুষেরা ২২ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন।

এসআই/এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।