গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত কমেছে রসুনের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০২ এএম, ২১ জুলাই ২০১৭

ঈদুল ফিতরের আগে আমদানি করা যে রসুনের দাম ৪২০ টাকা ছিল, সেই রসুনের দাম কমে চার ভাগের এক ভাগে চলে এসেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে আমদানি করা রসুন এখন ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। স্থানভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এ দিকে রসুনের দাম কমলেও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা সবজি। কাঁচা সবজি হিসেবে পরিচিত পটল, করলা, ঢেড়স, ধুন্দল, ঝিঙ্গা প্রতিটি পণ্যই বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকার বেশি কেজি দরে। আর বাজারে আসা নতুন সবজি শিম, ফুলকপির দাম নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে।

শুক্রবার যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরেই পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, করলা, ঢেড়সসহ প্রায় সব সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকার ওপরে রয়েছে।

বাজার ও মান ভেদে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। ঝিঙা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, ধুন্দল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, করলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢেড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা নতুন সবজি শিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা ১২০ টাকায়। আর ছোট আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা পিস। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন শুক্রবারও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

ঈদুল ফিতরের আগে রাজধানীর বাজারে ৫০০ টাকা কেজি দরে উঠে যাওয়া গরুর মাংস শুক্রবারও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য কোথাও কোথাও ৫১০ টাকা কেজি দরেও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে।

সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। লাল কক মুরগি আগের সপ্তাহের মতোই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ি বৌ-বাজারের পেয়াস, রসুনের বিক্রেতা মো. কামাল হোসেন বলেন, রোজার ঈদের আগে প্রতি কেজি আমদানি করা চীনা রসুন বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি দরে। সেই রসুনই এখন ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

একই দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি রসুন। ভালো মানের দেশি রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। আর একটু নিম্নমানের দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

এই ব্যবসায়ী বলেন, আমদানি করা রসুনের দাম কমে যাওয়ার কারণে দেশি রসুনের বিক্রি কমে গেছে। বেশিরভাগ ক্রেতা এখন আমদানি করা রসুনই কিনছে। রোজার মধ্যে আমদানি করা রসুন সপ্তাহে এক বস্তা করেও বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। এখন সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ বস্তা রসুন বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বেশির ভাগ সবজির দাম আগে যা ছিল এখনো তাই রয়েছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে সবজির দাম অনেকটা স্থির। তবে দিন দশেক ধরে বাজারে নতুন সবজি হিসেবে শিম ও ফুলকপি এসেছে। এখন প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও এই সবজিটি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর বাজারে আসা ছোট আকারের ফুলকপি গত সপ্তাহের মতো আজও ৩০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

এমএএস/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।