চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় বেড়েছে
সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১২৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৯ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা)। যা একই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এ খাতে।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১১৬ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এ খাতের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২২ কোটি মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা চামড়া রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৮ কোটি মার্কিন ডলার। এ সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ২৩ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের কাঁচা চামড়া রফতানিতে আয় হয়েছিল ২৭ কোটি ৭৯ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায়ও সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে চামড়া রফতানি আয় ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৩৮ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতের পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৬ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় এ খাতের পণ্য রফতানি আয় ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে চামড়ার জুতা রফতানিতে আয় হয়েছে ৫৩ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চামড়ার জুতা রফতানিতে আয় হয়েছিল ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারের রাবার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আয় হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৮৬ শতাংম কম। তবে এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় এবার এ খাতের আয় ২০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাবার রফতানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৩৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
এমএ/এএইচ/আরআইপি