রেমিট্যান্স বাড়ানোর পরামর্শ নিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৭

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে তৎপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে রেমিট্যান্স প্রেরণ সহজকরণ, ব্যয় হ্রাসসহ বিভিন্ন উপায় খুঁজতে ব্যাংকারদের পরামর্শ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া চলতি মাসের শেষ দিকে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সংঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বুধবার রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ ২০ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামাল নেতৃত্ব দেন।

এ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, রেমিট্যান্সপ্রবাহ কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ ২০ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কীভাবে রেমিট্যান্স বাড়ানো যায় এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নেয়া হয়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে সরকারের দেয়া বিভিন্ন পরামর্শ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকের এমডি ও সিইওদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে রেমিট্যান্স বাড়াতে এ সংক্রন্ত চার্জসহ বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আহরণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক উদ্বিগ্ন।

এর আগে রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে বিভিন্ন দেশে খোঁজ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কীভাবে আরও কমানো যায় সে বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি আসে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতির অবস্থা খুব ভালো নেই।

এছাড়া সেসব দেশে মানি লন্ডারিং আইনও কড়াকড়ি। কোনো শ্রমিক যখন দেশে অর্থ পাঠাতে চায় তখন তাদের নিয়োগপত্রসহ অনেক কাগজপত্রই চাওয়া হয়। এসব কারণে অনেকেই বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে নিরুৎসাহিত হন।

এছাড়া ডলারের দাম ওঠানামা তো আছেই। এসব কারণে অনেকে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন। সেইসঙ্গে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচও কিছুটা বেশি বলে মনে করছেন অনেকে। এসব কারণে রেমিট্যান্সপ্রবাহে গতি অনেকটা শ্লথ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ মূল্যের রেমিট্যান্স দেশে পাঠান, যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৪৯২ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর ৮০ টাকা এক ডলার ধরলে টাকার অংকে রেমিট্যান্স কমেছে ১৭ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা।

এসআই/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।