শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ১২ জুলাই ২০১৭

টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে (বুধবার) দেশের উভয় পুঁজিবাজারে মূল্যসূচকের বড় ধরনের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৯১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। আগের কার্যদিবসে অর্থাৎ মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। সে হিসাবে আজ লেনদেন কমেছে ৪০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ফলে বাজারটিতে টানা তিন কার্যদিবস পর কমেছে লেনদেন।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম ৩ মিনিটেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে আধাঘণ্টার ব্যবধানে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে এই সূচক। বেলা ১১টায় ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে যায়।

এরপর সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দুপুর ১২টার দিকে আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ১২টা ১০ মিনিটের পর সূচক টানা নামতে থাকে। সূচকের এই নিম্নমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে অপর দুটি সূচকও। ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর ডিএসইর সবকটি সূচক কমল।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩২টি বা ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। অপরদিকে বেড়েছে ৬৫টির বা ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির বা ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে আজ সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে কেয়া কসমেটিকের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৭৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেনারেশন নেক্সটের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। ৩২ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইফাদ অটোস।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ফু-ওয়াং ফুড, বেক্সিমকো, ইসলামী ব্যাংক, তুং হাই নিটিং, নূরানী ডাইং, সাইফ পাওয়ার এবং অগ্নি সিস্টেম।

একই দিন দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১০০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৫১ পয়েন্টে। বাজারটিতে মোট ৫৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৭৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার।

বুধবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২১২টিরই দরপতন হয়েছে। অপরদিকে বেড়েছে ৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির দাম।

এমএএস/এমএমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।