তৈরি পোশাকের রফতানি বাড়াতে পণ্য বহুমুখী করার উদ্যোগ
রফতানি আয় বাড়ানো ও পোশাকের ন্যায্যমূল্য পেতে পণ্যের বহুমুখীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তৈরি পোশাক খাতের ২৮টি প্রতিষ্ঠান। নেদারল্যান্ডস সরকারের সিবিআই প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
সোমবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে দিনব্যাপী তৈরি পোশাক পণ্য প্রদর্শনীতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রদর্শনীতে পোশাক খাতের ২৮টি প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন নতুন পণ্য প্রদর্শন করে।
নেদারল্যান্ডস সরকারের সিবিআই উন্নয়নশীল দেশগুলোর রফতানি বাড়াতে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে তিন বছর মেয়াদী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় তারা বাংলাদেশে পোশাক খাতের ছোট ও মাঝারি ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে। সিবিআই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন পণ্যের ধারণা দিয়েছে। পোশাক খাতের সক্ষমতা বাড়ানো, পণ্য বহুমুখী করাসহ ক্রেতা আকর্ষণের বিভিন্ন কৌশল ও নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরার উপর পশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বের এ খাতের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করবে সে বিষয়েও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, আমাদের দেশে তৈরি পোশাক খাত মূলত কটন বেজ পাঁচটি পণ্য বেশি রফতানি করে থাকে। এর মধ্যে শার্ট, পোলো শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি ইত্যাদি রয়েছে। এসব পণ্যের চাহিদা এখন কমে গেছে। এছাড়া এ ধরনের পণ্যের মূল্যও তেমন দিচ্ছে না ক্রেতারা। তাই এখন বেশি দাম পাওয়া যাবে এমন বহুমুখী পণ্যের উপর জোর দিতে হবে। বিশ্বের ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক উৎপাদন করতে হবে।
তিনি বলেন, গত জানুয়ায়রি থেকে দেশে পোশাক খাতের রফতানি আয় কমে গেছে। এ আয় বাড়াতে হলে পণ্য বহুমুখী করাসহ নতুন নতুন বাজার তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারেথা কুয়েলিনারি বলেন, পোশাক খাতের রফতানি বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণের উপর জোর দিতে হবে। এ খাত উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে, আগামীতেও থাকবে।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলা পোশাক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেল বলেন, সিবিআই এর উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের তৈরি বিভিন্ন পোশাক বিশ্ব বাজারে তুলে ধরছি। আমরা আমাদের অবস্থান বুঝতে পারছি। কোন কোনে দেশে আমাদের তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে তাও আমরা জানতে পারছি। এখানে আমরা নতুন নতুন পণ্য প্রদর্শন করছি। এ প্রর্দশনীর মাধ্যমে আমাদের কাছে নতুন ক্রেতারা আসছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন অর্ডারও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা বাচ্চাদের পোশাক তৈরি করি। নতুন নতুন ডিজাইনের তৈরি করা আমাদের পণ্যগুলো গুণগত মানসম্পন্ন। কিন্তু সেই অনুয়ায়ী মূল্য পাচ্ছি না। আমরা যে পণ্য বিক্রি করি আড়াই ডলার, সেই পণ্য ইউরোপে বিক্রি হয় ১৩ থেকে ১৪ ইউরো। এ কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাচ্ছি। তাই ক্রেতাদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্য আদায়ের উপর জোর দিচ্ছি।
এসআই/ওআর/পিআর