কৃষি পণ্য রফতানিতে আয় কমেছে


প্রকাশিত: ০২:২৫ পিএম, ২১ জুন ২০১৭

কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে দেশের আয় কমেছে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

এ হিসাবে অর্থবছরে কৃষি খাত থেকে দেশের আয় কমেছে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। অন্যদিকে আলোচ্য রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জুলাই থেকে মে পর্যন্ত এ খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। কিন্তু তা অর্জিত হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ কম হয়েছে।

খাতওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে চা রফতানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এই খাতে আয় হয়েছে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ১৬৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে, আগের অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে চা রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

অর্থবছরের এ সময়ে সবজি রফতানিতে ৮ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এই সময়ে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ কম। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রফতানি শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে সবজি রফতানিতে আয় হয়েছিল ৯ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে তামাকজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার, যা এই সময়ের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে তামাক ও তামাকজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ফল রফতানিতে আয় হয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯২ দশমিক ০৪ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ফল রফতানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

আলোচ্য সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে এই খাতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে এই খাতের রফতানি আয়ের তুলনায় এবারের আয় ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে মসলা জাতীয় পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে শুকনো খাবার রফতানিতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ের আয়ের তুলনায় এই খাতের আয় ১৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে শুকনো খাবার রফতানিতে আয় হয়েছিল ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।

অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে অন্যান্য কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ২৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ কম। তবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে অন্যান্য কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ২৫ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

এমএ/ওআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।