রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা


প্রকাশিত: ০৬:৪৪ এএম, ০৯ জুন ২০১৭
ফাইল ছবি

রাজধানীর খুচরা বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। এছাড়া বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি ও মাছ, মাংস। শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা, খিলগাঁও, বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

শুক্রবার প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দাম বেশি থাকায় দেশি রসুনের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। রোজার আগেই আমদানি করা রসুনের দাম বাড়তে থাকে। গত সপ্তাহে তা বেড়ে ৪০০ টাকায় দাঁড়ায়। আজ আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ খেকে ৩৮০ টাকায়।

প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০ এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এছাড়া এক কেজি ওজনের প্রতিপিস কক মুরগি ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দাম ৪০ টাকার উপরে। তবে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। রোজায় বেগুনের চাহিদা বাড়ার এর কারণ- বলছেন ব্যবসায়ীরা।

সবজি বিক্রেতা মিজান বলেন, গত সপ্তাহের দামেই সবজি বিক্রি করছি। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় টমাটো ও বেগুনের দাম কিছুটা বাড়তি।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি সাদা আলু ১৬-২২ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে ৪০-৫০ টাকা, বাধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, শিম ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ৪৫-৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শশা ও খিরা ২০-২৪ টাকা, ধুনদল, ঝিঙা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিচ ১৫-২০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়স, কচুরলতি ৪০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতিহালি ২৪-৩২ টাকা, লেবু প্রতিহালি ২৪ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি আঁটি লাল শাক, পালং শাক ১৫ টাকা, পুঁই ও ডাটা শাক ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ৩০-৩২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫-২৮ টাকা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি রুই ২৬০-৩৬০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-২০০, সিলভার কার্প ১৮০-২০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৬০০ টাকা, বাইলা মাছ প্রকার ভেদে ২৫০-৪০০ টাকা, বাইন মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৪৫০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২০০-৩৫০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০-৭০০, দেশি মাগুর ৪০০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৩৫০-৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়।

ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ২৮-৩০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৪৪ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪০-৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাকুরিজীবী সোবহান বলেন, সব ধরেনের সবজির দাম বেশি। মাছ, মাংস ও সবজি সব কিছুর দামই আগের বাড়তি দামে বিক্রি করছে। প্রতিবছরই ব্যবসায়ীরা রমজানের শুরুতে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ায় পরে আর তা কমে না। সমস্যা হয় আমাদের মত অল্প আয়ের মানুষের।

এসআই/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।