গ্যাস বিদ্যুৎ পানির দাম বাড়বে না, গ্যারান্টি চায় ক্যাব


প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ০৮ জুন ২০১৭

নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়বে না, এ বিষয়ে লিখিত গ্যারান্টি চাইল কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম রহমানের ভাষায়, ‘নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভোক্তাদের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম যে বাড়বে না- এর লিখিত চাই।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় লিখিত এ গ্যারান্টি (নিশ্চয়তা) চান তিনি।

ক্যাবকে সঙ্গে নিয়ে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। এছাড়া ক্যাবের উপদেষ্টা শামসুল আলম, জেনারেল সেক্রেটারি এস এম আজহার হোসেন, এনবিআর সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর আলম, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পিডি রেজাউল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গোলাম রহমান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে না। অনেক পণ্যে ছাড় দেয়া হয়েছে। কিন্তু গাধা, ঘোড়া, খচ্চরের মাংসের মতো অপ্রয়োজনীয় পণ্যে শূল্ক প্রত্যাহার করে কীভাবে বলা হচ্ছে দাম বাড়বে না? যেখানে সাবান, টুথপেস্টের মতো পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সরকার মূলত জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে একটু পানির জন্য মানুষ ছোটাছুটি করছে। এর মধ্যে পানির দাম ২২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যদি দাম এরই মধ্যে বেড়ে যায় তাহলে মানুষকে নিদারুণ কষ্টে পড়তে হবে।

আগামীতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও পানির ওপর যেন কোনো ভ্যাট আরোপ না হয়, দাম যেন আর না বাড়ানো হয়- এই আবেদন করেন গোলাম রহমান।

ক্যাবের উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, ভোক্তারা বিদ্যুৎ বিলের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেয়। প্রস্তাবিত আইনে ১৫ শতাংশ হারে দিতে হবে। তাতে ভোক্তাদের আপত্তি রয়েছে।

তিনি বলেন, ভ্যাট আইনে হিসাবের পদ্ধতিতে সমস্যা রয়েছে। ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল, এলপিজি, কেরোসিন, জেড ফুয়েল- এসব আমদানি করা জ্বালানির ক্ষেত্রে ভোক্তাদের নিকট থেকে মূল্যহারের সমন্বয় করে ভোক্তাদের কাছ থেকে কীভাবে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হবে তা স্পষ্ট নয়।

এনবিআর সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে সরকার কম দামে তা জনগণের কাছে বিক্রি করছে। এতে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকার যেভাবে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে চায়, সেটা যথাযথভাবে করা গেলে দেশের জন্য ভালো হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, এইচএস কোড ছাড়া যেসব নিত্যপণ্যে ছাড় দেয়া হয়েছে, তা জনসাধারণকে জানাতে হবে। অপ্রচলিত পণ্য ছাড়াও ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যে ছাড় দেয়া হয়েছে। এজন্য প্রচার অব্যাহত
রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার কর্মসংস্থান বাড়াতে কাজ করছে। যেন বেকার সমস্যার সমাধান হয়। এজন্য ভ্যাট ও করের হার বাড়াতে হবে।

এমএ/এমএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।