বাজেটে প্রস্তাব পুনঃবিবেচনা চায় সিএসই


প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ০৫ জুন ২০১৭

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল নতুন অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রস্তাবিত বজেটে তার কোনোটিই রাখা হয়নি দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম সাইফুল ইসলাম প্রস্তাবগুলো পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত সিএসইর কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

এ সময় সিএসইর পরিচালক মেজর (অব.) ইমদাদুল ইসলাম, ঢাকা অফিসের ইনচার্জ গোলাম ফারুকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে সংকট ও আস্থাহীনতা বিরাজ করছে উল্লেখ করে সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন প্রণোদনা ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করা গেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের গতিশীলতা আনয়নের জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে কতিপয় প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। গণমুখী পুঁজিবাজারের স্বার্থে একটি আধুনিক স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে আমরা প্রস্তাবগুলো পুনঃবিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।

প্রস্তাবগুলো হলো- স্টক এক্সচেঞ্জকে তিন বছরের জন্য শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দেয়া, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের ব্যবধান কমপক্ষে ১৫ শতাংশ করা, ট্রেকহোল্ডারদের লেনদেনের উপর কর হার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করা, দ্বৈত কর নীতি পরিহার করা, করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা এক লাখ টাকা করা এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সফটওয়্যারের উপর থেকে উৎস কর ও মূসক প্রত্যাহার করা।

সিএসইর এমডি বলেন, পুঁজিবাজারে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি স্থিতিশীলতা এবং আস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা ও কৌশল বাজেট কাঠামো ঘোষণা করা উচিত। কিন্তু আমরা কোনো বাজেটেই পুঁজিবাজারের জন্য কৌশলগত কাঠামো দেখি না। তবে বাজেট কাঠামোয় পুঁজিবাজার সম্প্রসারণ ও পুঁজিবাজার সম্প্রসারণ এবং পুঁজিবাজারের মাধ্যমে ক্যাপিটাল মোবিলাইজেশনের লক্ষ্যে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি সুস্পষ্ট ঘোষণা ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত।

তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা কিংবা কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নেই। এ ধরনের একটি কৌশল এবারের বাজেটে থাকা উচিত ছিল। আগামী ৩ বছরে আমাদের পুঁজিবাজারে কত কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, আমাদের বাজারে গভীরতা কত হবে, পুঁজিবাজার কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে, এমন কোনো সুস্পষ্ট কৌশন নিধারণ করা হয়নি।

সাইফুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে বিদেশি কোম্পানি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বরং অনেক ক্ষেত্রে ছাড়ের ওপর আছে। আইনী সংস্কার করে বাজারে আনার ব্যবস্থা করা দরকার। তবে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা নেই।

এখন পুঁজিবাজার কি স্থিতিশীল? এমন প্রশ্নের জবাবে সিএসই’র এমডি বলেন, এখনও বাজার নিশ্চিত স্থিতিশীল অবস্থানে আসেনি। একটা স্বাভাবিক ট্রেড ভলিয়ম বাড়েনি। আরও নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আনতে হবে। গুণগত মানসম্মত কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। এগুলোর জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ কিংবা কৌশল নির্ধারণ করা দরকার। যা বাজেটে অনুপস্থিত রয়েছে। আমরা মনেকরি পুঁজিবাজারে অন্তত্য এক হাজার কোম্পানি তালিকাভূক্ত হওয়া উচিত।

ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক নিয়ে তিনি বলেন, বাজেটে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। অনেকে মনে করছেন এখন ব্যাংক এই অলস অর্থ পুঁজিবাজারে আসবে। তবে আমি মনে করি এর সঙ্গে পুঁজিবাজারের কোনো সম্পর্ক নেই। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হলে, বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা বাড়লে এমনিতেই নতুন ফান্ড বাজারে আসবে।

এমএএস/এমএমএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।