জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ : বিশ্ব ব্যাংক
চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করেছে বিশ্ব ব্যাংক। যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে।
এরআগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক ঋণদাতা এ সংস্থার হালনাগাদ প্রতিবেদন ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’-এ জিডিপির এ প্রাক্কলনের কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেও চলতি বছর বাংলাদেশ ভালো প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে কৃষি ও সেবা খাত চাঙ্গা থাকার কারণে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও শিল্প উৎপাদনের পরিস্থিতিও ভালো। তেলের দামে স্থিতিশীলতা ও রফতানিতে সামান্য হলেও প্রবৃদ্ধি থাকায় বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি আরও কমেছে। উপযোগী আবহাওয়া ও তেলের দাম কমার কারণে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার নিচে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে রেমিটেন্স প্রবাহে মন্দা থাকায় কিছুটা উদ্বেগ থাকছেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি এবং মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর মন্দা ঝুঁকি তৈরি করেছে। আগামীতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহে বড় ধরনের ধস দেখা দিলে বাংলাদেশের সামষ্টিক ভোগ ও বিনিয়োগেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব ব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে নামতে পারে বলেও বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে। সেই সঙ্গে ২০১৮-২০২০ সময়ে গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলেও ধারণা দেয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চাঙ্গা হলে রেমিটেন্স বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের আস্থা ও বিনিয়োগ বাড়বে বলে বিশ্ব ব্যাংকের ধারণা। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল, পাকিস্তান ও ভারতে নির্বাচন সামনে রেখে নীতিগত ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা ও নির্বাচনের ফল অর্থবাজারকে অস্থির করে তুলতে পারে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
এমএ/এনএফ/জেআইএম