যুক্তরাষ্ট্রে চলতি মৌসুমে সয়াবিনের দ্বিগুণ উৎপাদন


প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ১৩ মে ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে ২০০৯ সালের তুলনায়  দ্বিগুণ সয়াবিনের উৎপাদন হবে। সয়াবিনের শীর্ষ উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা আগামী মাসের মধ্যে চলতি মৌসুমের শস্য রোপণ কাজ শেষ করতে পারেন।

ব্লুমবার্গ জরিপের বিশ্লেষকরা জানান, ২০১৬ সালে শস্য সংগ্রহ কাজ শুরুর আগে বিশ্বব্যাপী সয়াবিন মজুদ হতে পারে ৯ কোটি ৫০ লাখ টন, যা ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

সেন্ট লুইসের রাবো এগ্রিফিন্যান্সের খাদ্য ও কৃষি গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিভ নিকলসান বলেন, বিশ্বব্যাপী সয়াবিনের মজুদ ১০ কোটি টন অতিক্রম করবে, সেটা কল্পনা করা খুব একটা অযৌক্তিক হবে না।

ব্লুমবার্গ জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ব্যবসায়িরা আগামী বছর ফসল সংগ্রহের কাজ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিনের মজুদ বেড়ে নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছার প্রত্যাশা করছেন। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪ কোটি ৬০ লাখ বুশেল সয়াবিনে মজুদ হতে পারে। যেখানে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে ৩৬ কোটি ২০ লাখ বুশেল শস্য মজুদের সম্ভাবনা রয়েছে।
 
ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে দেশটির কৃষকরা রেকর্ড সংখ্যক অর্থাৎ ৩৭৯ কোটি বুশেল (১০ কোটি ৮০ লাখ টন) সয়াবিন সংগ্রহ করেন। ২০১৩ সালের চেয়ে যা ১৮ শতাংশ বেশি। এ কারণে গত বছর শস্যটির দাম কমে যায় ৩৪ শতাংশ। সয়াবিনের পাশাপাশি কমতির দিকে ছিল সয়াভিত্তিক পশুখাদ্যের চাহিদা। বার্ড ফ্লুর কারণে মুরগি নিধন করায় পণ্যটি বিক্রিতে ওই সময় মন্দা নেমে আসে। ২০১৪ সালে সয়াপণ্যের দাম কমেছে ৩৫ শতাংশ। শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) বর্তমানে প্রতি বুশেল সয়াবিন লেনদেন হচ্ছে ৯ ডলার ৭৩ সেন্টে।

উৎপাদন বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সস্তায় সয়াবিন সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মোট ৪৩ লাখ ২৪ হাজার টন সয়াবিন, যা এক বছর আগের তুলনায় ৪৪ শতাংশ কম। এদিকে ১ অক্টোবরের পর দেশটি থেকে সয়াপণ্যের সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে ৪৩ শতাংশ।

ইউএসডিএ গত মাসে এক তথ্যে জানায়, চলতি বছরে দক্ষিণ আমেরিকায় মোট ১৬ কোটি ৬৪ লাখ টন সয়াবিন উৎপাদন হতে পারে। এর পরিমাণ গত বছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) শিগগিরই বিশ্বব্যাপী সয়াবিনের উত্পাদন ও চাহিদা-সংক্রান্ত চলতি মৌসুমের প্রথম পূর্বাভাস প্রকাশ করবে।

এসকেডি/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।