অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু


প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ০২ জুন ২০১৭

নতুন অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রস্তাবিত বাজেটের পর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বরাবরের মতো এবারও বাজেট প্রস্তাব পেশের পর দিন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়াতনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২২৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। গত কয়েক বছরের মতো এবারও বাজেটে মানবসম্পদ, সামাজিক অবকাঠামো ও ভৌত অবকাঠামো খাতেকে গুরুত্ব দিয়েছেন এমএ মুহিত।

সামাজিক অবকাঠামোর জন্য অর্থমন্ত্রী বাজেটে বরাদ্দ রেখেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। আর ভৌত অবকাঠামো খাতের জন্য তার থেকে একটু বাড়িয়ে রাখা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯ কোটি টাকা।

এদিকে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ বা ৪৪ হাজার ২৯ কোটি টাকাই বরাদ্দ রাখা হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য। যোগাযোগ অবকাঠামোর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ৫৪ কোটি টাকা, যা এডিপির ২৬ দশমিক ৮০ তাংশ।

কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন এবং জ্বালানি অবকাঠামো খাতেও গুরুত্ব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এডিপি থেকে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩২ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। আর জ্বালানি অবকাঠামোর জন্য রাখা হয়েছে ২০ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়েও স্বপ্ন দেখিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। অর্থমন্ত্রীর প্রত্যাশা নতুন অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারের বাজেটেও বড় অঙ্কের ঘাটতি রাখা হয়েছে। ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকার ঘাটতি পূরণে অর্থমন্ত্রী বৈদেশিক উৎস থেকে ৫১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রত্যাশা করছেন।

অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত উৎস হতে ৩২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।

এক বছরের ব্যবধানে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্র বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা বা ১৩ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা আদায়ের মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়েছে এনবিআর কর থেকে ২ লাখ ৪৮ লাখ ১৯০ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর রাজস্ব ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।

এমএএস/এমএমএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।