বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় সিপিডির


প্রকাশিত: ০৬:৫৯ এএম, ০২ জুন ২০১৭

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ সংশয় প্রকাশ করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় সিপিডির সম্মানিত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ সংস্থার অন্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এর আয় ও ব্যয়ের কাঠামোর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রসাশনিক কাঠামো দিয়ে বাজেটে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বাজেট বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সহায়তা দরকার। জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কিন্তু আমরা তা দেখছি না।

এছাড়াও বাজেটে এডিপি বাস্তবায়নে সুর্নিদিষ্টি কোনো দিক নির্দেশনা নেই।

দেবপ্রিয় বলেন, বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ৭.৬  বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণের সহায়তা আমাদের আশ্চার্য করেছে। কারণ আমাদের ২০১৬ সালে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক ঋণের সহায়তা আসে যার পরিমান মাত্র ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও বৈদেশিক ঋণ ব্যয় করতে পারছে না। তারপরও সরকার কিভাবে প্রায় তিনগুণ বাড়ানো হল তা জানি না। তাই ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে সিপিডি।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সরকারি বিনিয়োগ বড় ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ উন্নীত করতে হবে। অর্থনীতির সঙ্গে বাজেটের আকারও বাড়াতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাজেটের আকার বাড়ানো জন্য যে সক্ষমতার প্রয়োজন তাতে ঘাটতি আছে বলে আমরা মনে করি।

প্রসঙ্গত, ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ নাম দিয়ে` আগামী অর্থবছরের (২০১৭-১৮) জন্য চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট গতকাল পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত এ বাজেট চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা থেকে ২৬ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা বেশি।

অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ধরেছেন ২২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। আর জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ধরেছেন ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

এসআই/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।