বৈদেশিক ঋণের প্রত্যাশা ১১.৬ শতাংশ
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঙ্কের বাজেট এটি।
বাজেটে অর্থায়নের উৎস হিসেবে বৈদেশিক ঋণ ১১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং বৈদেশিক অনুদান ১ দশমিক ৪ শতাংশ ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থায়ন উৎসের ছক তুলে ধরা হয়। যেখানে অর্থায়ন ঘাটতি মেটাতে এ লক্ষমাত্রার কথা জানানো হয়।
প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক ঋণ এবং বৈদেশিক অনুদান ছাড়া অর্থায়নের অন্যান্য উৎসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ ১৫ দশমিক ১ শতাংশ দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া কর ব্যতীত আয়ের প্রাপ্তি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, জাতীয় রাজস্ব বহির্ভুত কর ২ দশমিক ১ শতাংশ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর ৬২ শতাংশ দেখানো হয়েছে।
অর্থায়নের অন্যান্য উৎসের মধ্যে আরও রয়েছে- মূল্য সংযোজন কর ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ, আমদানি শুল্ক ১২ দশমিক ১ শতাংশ, আয়কর ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ, সম্পূরক কর ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দেশের ৪৬তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ এবং অর্থমন্ত্রী মুহিতের ১১তম বাজেট এটি। বাজেট প্রস্তাবের পর সংসদে আলোচনা শেষে চলতি মাসের ২৯ জুন পাস হবে এটি।
এমএ/এএইচ/জেআইএম