মূসক নিবন্ধন সীমা ১ কোটি ৫০ লাখ


প্রকাশিত: ০৯:২১ এএম, ০১ জুন ২০১৭

নতুন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে মূসক নিবন্ধন সীমা ৮০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি এ ঘোষণা দেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যবসায়ীর বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকার বিক্রি হলে কোনো কর দিতে হবে না। এর আগে নতুন আইনে ৩০ লাখ টাকা টার্নওভার তালিকাভুক্তির সীমা নির্ধারণ করা হয়।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে এটা ৩৬ লাখ টাকা করা হয়েছে। মাসে ৩ লাখ ও বছরে ৩৬ লাখ টাকা বিক্রি হলে ওই ব্যবসায়ীকে আর ভ্যাট নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত হওয়া বা তার ক্ষেত্রে কোনো কর প্রযোজ্য হবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মূসক নিবন্ধন সীমা ৮০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। কোনো ব্যবসায়ীর বার্ষিক বিক্রি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলে তাকে ৪ শতাংশ হারে টার্নওভার কর দিতে হবে। নতুন ভ্যাট আইনে যেখানে ৮০ লাখ টাকা হলে ৩ শতাংশ নেয়ার কথা ছিল। নিবন্ধন সীমা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টার্নওভার কর ১ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মুহিত বলেন, ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি বিক্রি হলেই ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হবে এবং ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। যদি ব্যবসায়ী সঠিকভাবে হিসাব রাখেন তাহলে সকল উপকরণ কর রেয়াত পাবেন। ফলে তার নীট কর কম হবে।

রেয়াতের শর্ত সহজ করা হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যবসায়ী স্থানীয় পর্যায়ে বিক্রি করে এবং তার অনুকূলে মূসক চালান থাকে, তবে তিনি রেয়াত গ্রহণ করতে পারবেন। উপকরণ কর পরিশোধ করার দরকার নেই। অর্থাৎ ব্যবসায়ী বাকিতে ক্রয় করলে, ভ্যাটের অর্থ পরিশোধ না করা সত্ত্বেও প্রযোজ্য ভ্যাটের সমপরিমাণ অর্থ রেয়াত গ্রহণ করতে পারবেন।

আমদানির ক্ষেত্রে দেশে ব্যবহারের জন্য কাস্টমস সনদের বিধান বাতিল করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীর বিল অব এন্ট্রি থাকলেই আমদানিতে পরিশোধিত ভ্যাট রেয়াত ও অগ্রিম কর সমন্বয়ের মাধ্যমে কর রেয়াত পাবেন।

এইউএ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।