বৈষম্য বাড়াতেই নতুন ভ্যাট নীতি : আবু আহমেদ


প্রকাশিত: ০৯:৩৫ এএম, ২৯ মে ২০১৭

ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়াতেই নতুন ভ্যাট নীতি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ করার পক্ষেও মত দেন।

আসছে বাজেট। বাজেটের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইন সামনের বাজেটেই পাশ হচ্ছে। ভ্যাটের হার এবং এর আওতা নিয়ে নানা কথা এখন বাজারে।

নতুন ভ্যাট আইনের আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব কী হতে পারে- তা জানতে চাওয়া হয় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদের কাছে। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন।

জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় নতুন ভ্যাট আইন ও আসন্ন বাজেট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এ অর্থনীতিবিদের সঙ্গে।

‘ভ্যাটের নতুন আইনে আপত্তি আছে’ জানিয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দরিদ্ররা যেসব পণ্যের ওপর নির্ভরশীল সেসব পণ্য ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা দরকার। নইলে নতুন ভ্যাট নীতিতে বৈষম্য আরও বাড়াবে।’

সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব মানুষ দৈনিক পাঁচশ টাকার নিচে আয় করেন এবং তারা যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করেন সেসব পণ্য পুরোপুরিভাবে ভ্যাটের আওতামুক্ত করতে হবে।’

ভ্যাটের হার কমানোর সুপারিশ করে তিনি বলেন, ‘এটি ১০ শতাংশ করলে ভালো হবে। তা না হলে বুঝতে হবে বৈষম্য বাড়াতেই নতুন ভ্যাট নীতি করা হচ্ছে।’

বাজেট প্রসঙ্গে ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যা আয় হচ্ছে, এর রাজস্ব ব্যয় হচ্ছে ৭০ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে উন্নয়নে। সরকারের লোকের বেতন-ভাতা দিতেই সব শেষ। উন্নয়ন হবে কিসে?’

‘দেড় দশক আগে এমনটি ছিল না’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আয় নেই কিন্তু বেতন বাড়ানো হচ্ছে, এমপিওভুক্ত হচ্ছে। ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে। অথচ আয় নেই। এবারের বাজেটের আকার যা, সেটা যে বাস্তবায়ন হবে তাও বলা যাবে না!’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের এত লোকের কোনো কাজ নেই। সচিবালয়ে গিয়ে দেখেন, একজনের কাজ পাঁচজন মিলে করছেন। এত লোকের কোনো দরকার নেই। যেখানে লোক দরকার সেখানে নিয়োগ না দিয়ে অন্য জায়গায় নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সব আয়োজন রাষ্ট্রের ব্যয় বাড়ানোর জন্যই। আয় ও ব্যয় নীতির পরিবর্তন না আনলে রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারবে না।’

এএসএস/এমএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।