এমটিবি, মাস্টারকার্ড ও বাংলালিংক নিয়ে এল ‘ইজি পেমেন্ট কার্ড’


প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ২৪ মে ২০১৭

প্রথমবারের মতো মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি), মাস্টারকার্ড ও বাংলালিংক এই তিন প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে নিয়ে এল আমার প্রথম ‘ইজি পেমেন্ট কার্ড’। এই কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহক সহজে ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধা, পণ্য কেনাকাটা, মোবাইল রিচার্জসহ সব ধরনের ডিজিটাল পেমেন্ট করতে পারবেন।

বুধবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্ডটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, এমটিবির এমডি ও সিইও আনিস এ খান, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, বাংলালিংকের সিইও এরিক অস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্যাংকিংসহ অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ করা যাবে এই ইজি পেমেন্ট কার্ডটির মাধ্যমে।

আর্থিক সেবা ছাড়াও এই কার্ড ব্যবহারকারীরা পাবেন শীর্ষ ই-কমার্স সাইটগুলো থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ডিসকাউন্ট ভাউচার এবং দেশব্যাপী এক হাজার ৭০০ আউটলেট থেকে এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট ও সুবিধা।

এছাড়া আমার প্রথম ইজি পেমেন্ট কার্ডধারীরা উপভোগ করতে পারবেন নিরাপত্তা সুবিধা। যাতে রয়েছে মাস্টারকার্ড এবং এমটিবি’র পিওএস’র শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। সেইসঙ্গে দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে এটিএম ব্যবহারের সুবিধা। উপযুক্ত বাংলালিংক গ্রাহকরা দেশব্যাপী মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের যেকোনো শাখায় এই কার্ডটি বিনামূল্যে নিবন্ধন করতে পারবেন।

Banglalink

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কার্ড তা প্রমাণ করে। এতে করে প্রান্তিক মানুষও সুবিধা পাবে। বর্তমান সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে এমটিবির এমডি ও সিইও আনিস এ খান বলেন, বাংলালিংক ও মাস্টারকার্ড এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের অনেককেই এই আর্থিক সেবার আওতায় আনতে পেরেছি। এই কার্ডটি মূলত সেসব গ্রাহকের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা এখনও কোনো আর্থিক সেবার অধীনে আসেনি। ইলেকট্রনিক অর্থ এবং ই-কমার্সের এই যুগে কার্ডটি গ্রাহকদের দুটো সুবিধাই উপভোগ করার সুযোগ করে দেবে।

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, মাস্টারকার্ড যত বেশি সংখ্যক মানুষকে আর্থিক সেবার মধ্যে নিয়ে আসতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। আমরা ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং সেবার আওতাবহির্ভূত ৫০০ মিলিয়ন মানুষকে সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এই ইজি পেমেন্ট কার্ড উন্মোচন আমাদের উদ্ভাবনী সেবা ও সল্যুশন প্রদানেরই প্রতিশ্রুতি, যা স্থানীয় কমিউনিটির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ১০ লাখেরও বেশি এবং আমরা বিশ্বাস করি তাদের হাতে আমরা একটি ডিজিটাল পেমেন্ট হাতিয়ার দিচ্ছি, যা আগামীতে ডিজিটাল অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করবে।

এসআই/জেডএ/ওআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।