আপন জুয়েলার্স বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক : বাজুস


প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ১৫ মে ২০১৭

রাজধানী ঢাকায় আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। এটি করা কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। একই সঙ্গে বন্ধ হওয়া পাঁচটি শো-রুম খুলে দেয়ারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার বাজুসের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাজুস এক জরুরি সভা করে। ওই সভায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচটি শো-রুম বন্ধের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

সভায় বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি কয়েক হাজার পরিবারের ভরণ-পোষণ ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত। তারা সরাসরি এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত। এসব পরিবারের  ভরণ-পোষণের দায়িত্ব কে নেবে। বাজুস দাবি করেছে, আপন জুয়েলার্স সরকারের সব নিয়ম-কানুন মেনে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। কিন্তু হঠাৎ করে পাঁচটি শো-রুম বন্ধ করে দেয়া কতটা যৌক্তিক?

বাজুস জানায়, একটি স্বর্ণের দোকোনে যে পরিমাণ স্বর্ণ মজুদ থাকে তার একটি বড় অংশ ক্রেতাদের, যা নতুন স্বর্ণ ক্রয়ের জন্য অগ্রিম হিসেবে গচ্ছিত থাকে। তাই জুয়েলার্সের সঙ্গে জড়িত নির্দোষ কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বর্ণ শিল্পী ও ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় এনে অবিলম্বে আপন জুয়েলার্সের বন্ধ শো-রুমগুলো খুলে দেয়াসহ হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ১৪ মে (রোববার) ‘ডার্টি মানি’র অনুসন্ধানে রাজধানী ঢাকায় আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দারা। অভিযানে প্রায় ৩০০ কেজি স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের (হীরা) গহনা জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। একই সঙ্গে ঢাকার গুলশানে সুবাস্তু টাওয়ারের শাখাটি বন্ধ পাওয়ায় সিলগালা করে দেয়া হয়। আজ সোমবার গুলশানের এই শাখাটিতে আবার অভিযান চালানো হয়।

এসআই/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।