টানা সাত কার্যদিবস দরপতন
দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রতিদিনই লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হচ্ছে। ফলে কমছে মূল্য সূচকের পরিমাণও। গত কয়েক দিনের মতো সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও দরপতন হয়েছে উভয় শেয়ারবাজারে।
এর মধ্য দিয়ে টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের ঘটনা ঘটলো।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ১৭২টি বা ৫৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। একই চিত্র অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। এ বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৩৮টি বা ৫৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দর হারিয়েছে।
মূল্য সূচক ও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি উভয় বাজারে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৫০ কোটি ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৭২টি বা ৫২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় কমেছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ১১২টির বা ৩৪ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি বা ১৪ শতাংশের দাম।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বা ৩ মাসের মধ্যে এটিই ডিএসইএক্স এর সর্বনিম্ন অবস্থান।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসপিসিএল এর ১৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ডরিন পাওয়ার, আরএসআরএম স্টিল, ন্যাশনাল ফিড, ইউনাইটেড পাওয়ার গ্রীড, ইউনিক হোটেল, বিডি ফাইন্যান্স এবং ওয়ান ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৮টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ১৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।
এমএএস/এমআরএম/এমএস