এফবিসিসিআই নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ২০১৭-১৯ মেয়াদের নির্বাচনে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ থেকে ১৬ জন ও ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম থেকে দুই জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রেটি হলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। পরে ভোটগণনা শেষে রাতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যক্ষ মো. আলী আশরাফ।
এফবিসিসিআই-এর ১ হাজার ৯০৫ জন ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে ভোট দেয়ার যোগ্য ছিলেন ১ হাজার ৮৯৮ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৬৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০৬টি ভোট পেয়েছেন খন্দকার রুহুল আমিন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবু মোতালেব পেয়েছেন ১ হাজার ১৯৫ ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা নাজিম উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ১৪৫ ভোট। ১ হাজার ১৪১ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন শফিকুল ইসলাম ভরসা। পঞ্চম স্থানে থাকা মুনতাকিম আশরাফ পেয়েছেন ১ হাজার ১০৫ ভোট। আর ১ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ স্থান দখল করেছেন শমী কায়সার।
এছাড়া নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন- রাশেদুল হোসাইন চৌধুরী রনি (১০৫২), হাবিবুল্লাহ ডন (১০৩৪), সাফকাত হায়দার (১০১৭), ড. কাজী এরতেজা হাসান (১০০১), হেলেনা জাহাঙ্গীর (৯৮৪), আমজাদ হোসাইন (৯৭৭), নিজামুদ্দিন রাজেশ (৯৭৬), হাফেজ হারুন (৯৭৪), এসএম জাহাঙ্গীর হোসাইন (৯৬৫), আবুল আয়েছ খান (৯৬২), আবু নাছের (৯২৮) এবং খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল (৯২৩)।
এদের মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ (নাসিব)-এর হেলেনা জাহাঙ্গীর ও ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশনের ড. কাজী এরতেজা হাসান ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের ব্যানারে নির্বাচন করে জয় লাভ করেছেন।
চেম্বার গ্রুপ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা :
বাগেরহাট চেম্বারের হাসিনা নেওয়াজ, বরিশাল চেম্বারের মো. নিজাম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের আজিজুল হক, চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দীলিপ কুমার আগারওয়ালা, কুমিল্লা চেম্বারের মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, ফেনী চেম্বারের এ কে এন শাহেদ রেজা, গাজীপুর চেম্বারের মো. আনোয়ার শাদাত সরকার, গোপালগঞ্জ চেম্বারের শেখ ফজলে ফাহিম, জামালপুর চেম্বারের মো. রেজাউল করিম রঞ্জু, কিশোরগঞ্জ চেম্বারের গাজী গোলাম আশরিয়া, লালমনিরহাট চেম্বারের শেখ আব্দুল হামিদ, মানিকগঞ্জ চেম্বারের তাবারুকুল তোদাদ্দেক হোসেন খান টিটু, মুন্সীগঞ্জ চেম্বারের মো. কহিনুর ইসলাম, নরসিংদী চেম্বারের প্রবীর কুমার সাহা, নোয়াখালী চেম্বারের আতাউর রহমান ভূঁইয়া, রাঙামাটি চেম্বারের মো. বজলুল রহমান, সুনামগঞ্জ চেম্বারের খায়রুল হুদা চপল টাঙ্গাইল চেম্বারের আবুল কাশেম আহমেদ।
নিয়মানুযায়ী, এবার এফবিসিসিআই-এর ৬০ পরিচালক পদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৮টি করে মোট ৩৬ টি পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি ২৪ টি পদে সরকার মনোনয়ন দেবে, যার ১২টি চেম্বার ও ১২টি অ্যাসোসিয়েশন থেকে।
তবে সমঝোতার মাধ্যমে চেম্বার গ্রুপ থেকে সরকার সমর্থক প্যানেলের ১৮ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে নির্বাচনে ৬০ পরিচালক পদের মধ্যে ১৮টি পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৬ মে পরিচালকদের ভোটে এফবিসিসিআ-এর সভাপতি, প্রথম সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন। ১৭ মে পরিচালক পদের বিপরীতে আপিল করা যাবে। আর ২০ মে ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত ফলাফল।
এবারের নির্বাচনে অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম ও সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ নামে দুটি পৃথক প্যানেলে ৩৬জন পরিচালক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনই বর্তমান মেয়াদের পরিচালক। প্যানেলটির লিডার হিসেবে রযেছেন শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। আর ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সমন্বয়কারী হলেন কাজী ইফতেখার হোসেন বাবলু।
সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ থেকে পরিচালক নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন- বাংলাদেশ এগ্রিকালচার মেশিনারিজ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের এসএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউট সোর্সিংয়ের সাফকাত হায়দার, বাংলাদেশ অটো স্পেয়ার পার্টস মার্চেন্ট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের আবুল আয়েছ খান, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের মুনতাকিম আশরাফ, বাংলাদেশ হার্ডবোর্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের নিজামুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ লেদারগুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের আমজাদ হোসাইন, বাংলাদেশ পেপার ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের শফিকুল ইসলাম ভরসা, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং, রোল ম্যানুফ্যাকচারার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আবু মোতালেব, বারবিডার হাবিবুল্লাহ ডন, রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের খন্দকার রুহুল আমিন, সেকেন্ডারি কোয়ালিটি টিনপ্ল্যাট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেনের নিজামুদ্দিন রাজেশ, সুইয়িং থ্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের আব্দুল হক, ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের হাফেজ হারুন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের শমী কায়সার, আউট সোর্সিং অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের আবু নাছের, প্রাইভেট রেডিও ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাশেদুল হোসাইন চৌধুরী রনি।
ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামে অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে পরিচালক নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন- বাংলাদেশ অ্যাসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ, অ্যালুমিনিয়াম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওবায়দুর রহমান, অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের মো. শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, বাইসাইকেল মার্চেন্ট, অ্যাসেমবি্লং অ্যান্ড ইম্পোটারস অ্যাসোসিয়েশনের মো. মিজানুর রহমান বাবুল, ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, এগ প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের তাহের আহমদ সিদ্দিক, হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডা. মাহবুব হাফিজ, ইন বাউন্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের এমজিআর নাসির মজুমদার, ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশনের ড. কাজী এরতেজা হাসান, মোশন পিকচার্স এক্সিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশনের কাজী শোয়েব রশিদ, রেলওয়ে স্পেয়ার পার্টস অ্যান্ড এক্সেসরিজ সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ফেরদৌস হুদা চৌধুরী, রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ইসহাকুল হোসেন মুকুট, ঋণগ্রহীতা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, স্পেশালাইজড হাইড্রো কার্বন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এনায়েত হোসেন চৌধুরী, ওয়েস্ট পেপার সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মো. আমির উদ্দিন বিপু, ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ (নাসিব) হেলেনা জাহাঙ্গীর, প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের মো. রাব্বানী জব্বার ও স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মো. আলী জামান।
এমএএস/এসআই/এমএমএ