কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর সুপারিশ তথ্যমন্ত্রীর


প্রকাশিত: ০৯:২৮ পিএম, ০৮ মে ২০১৭

নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক আইন ব্যবসায়ী ও ভোক্তাবান্ধব উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, উদর বিবেচনা করে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো যায়। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্বৈতকর আছে, এটি আলোচনা করে সমাধান করা যায়।

সোমবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের অফিসে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বাস্তবায়ন নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ পরিচালনা করতে গেলে টাকা লাগবে। এই টাকা আমরা (সরকার) দেশের উন্নয়ন বা অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করব। মানুষের সেবা প্রদানের জন্য। সেখানে একটি জটিল অঙ্ক আছে। তা হলো আমি রাজস্ব আদায় করব, আবার সাধারণ মানুষের ওপর যেন আর্থিক চাপ না পড়ে। সুতরাং এটার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

ইনু বলেন, নতুন মূল্য সংযোজন কর আইন বাস্তবায়ন হলে ব্যবসার খরচ বাড়বে না, দ্রব্যমূল্য বাড়বে না, হয়রানি কমবে। তবে সেবাখাতের ওপর কোনো চাপ পড়বে কি না, সেবাখাতের মূল্য বেড়ে যাবে কি না, এ বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

ব্যবসায় ফাঁকি-ঝুঁকি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ব্যবসা করছি, উৎপাদন করছি, লাভ করছি। কিন্তু আমি ঠিকমতো কর দিচ্ছি না। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যবসার প্রক্রিয়ার ভেতরে ফাঁকি-ঝুঁকি হচ্ছে। অনলাইন চালু হলে ফাঁকি-ঝুঁকি কমে যাবে এবং হয়রানি বন্ধ হবে।

প্যাকেজ ভ্যাটের বিষয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ পদ্ধতির পক্ষে যারা ওকালতি করছেন, সেই ওকালতি ঠিক না। কারণ এনবিআর বলছে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রির ওপর কোনো মূসক দেয়া লাগবে না। ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত মাত্র তিন শতাংশ মূসক দিতে হবে। অর্থাৎ গ্রাম-গঞ্জে যারা ৩০ লাখ টাকার নিচে ব্যবসা করেন, তারা এর আওতায় আসছেন না।

তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন হলো আপনি অনলাইন রপ্ত করতে পারবে কি না? আমি মনেকরি যেখানে সাড়ে চার কোটি মোবাইল, বাংলাদেশের জনগণ গ্রামে বসে সেই মোবাইলে এসএমএস এসএমএস খেলা খেলতে পারে, সেখানে অনলাইন পদ্ধতি রপ্ত করতে বেশি সময় লাগবে না।

আয়কর বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী মোড় বদলকারী একটা কাজ করতে পেরেছেন। সেটা হলো আয়করটা আমাদের বেড়েছে। পরক্ষ করের নির্ভরতা যত কমানো যাবে তত ভালো। এ জন্য আমি অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম এক কোটি টাকা আয়কর দিতে পারে এমন ৫০ হাজার মানুষ বাংলাদেশ আছে। এই তালিকাটা করতে পারলে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয়কর আপনি নিট আদায় করা সম্ভব।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআর সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন।

এমএএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।