হাওরে কৃষিঋণ আদায় না করার নির্দেশ


প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

দেশের হাওর অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে কৃষিঋণ আদায় না করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঋণ আদায় স্থগিত রেখে পরবর্তী সময়ে সহজ কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফসিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে রোপা আমনসহ অন্য ফসল ও মৎস্য খাতে প্রকৃত চাহিদার ভিত্তিতে নতুন ঋণ বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রবি শস্য ও আমদানি ফসলে রেয়াতি সুদে ঋণ বিতরণ জোরদার করতে হলা হয়েছে। এ ছাড়া ঋণ পেতে কেউ যাতে কোনও ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেই বিষয়ে তদারকি করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের হাওরাঞ্চল তথা সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি ঢলের পানি এবং ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ধানসহ কৃষিজাত ফসল প্রায় সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকেরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে হাওরাঞ্চলের প্রধান ফসল বোরো ধান ও অন্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কাঁচা-পাকা ধান পানিতে ডুবে পচে যাওয়ায় পানিদূষণের কারণে মৎস্য সম্পদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠে কৃষি উৎপাদন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে রোপা আমনসহ অন্য ফসল এবং মৎস্য খাতে প্রকৃত চাহিদা ও বাস্তবতার নিরিখে নতুন ঋণ বিতরণ এবং রবি শস্য ও আমদানি বিকল্প ফসলে (ডাল, তেলবীজ, মসলা ও ভুট্টা) রেয়াতি হার সুদে ঋণ প্রদান জোরদার করতে হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছ থেকে কৃষিঋণ আদায় স্থগিত, সহজ কিস্তি আদায়ের মাধ্যমে ঋণ নিয়মিতকরণ/ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিলপূর্বক ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা প্রদান করতে হবে।

নতুন করে কোনও সার্টিফিকেট মামলা না করে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনাদায়ী ঋণসমূহে ঋণ তামাদি হওয়া প্রতিবিধানে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দায়েরকৃত সার্টিফিকেট মামলাগুলো বন্ধ রেখে আলোচনার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা যাতে প্রকৃত চাহিদা মোতাবেক যথাসময়ে নতুন ঋণসুবিধা গ্রহণ করতে পারেন এবং ঋণ পেতে কোনোরূপ হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকি করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বসতবাড়ির আঙিনায় হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন, গো-খাদ্য উৎপাদন ও ক্রয় খাতে ঋণ প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এসআই/জেএইচ/ওআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।