কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে মানসম্মত বিনিয়োগ জরুরি


প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৭

দেশে বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থা সন্তোষজনক নয়। এর পেছনে অবকাঠামো দূর্বলতাই বড় কারণ। সরকার এসব অবকাঠামোগত সমস্যা দূরীকরণে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। কিন্তু সে বিনিয়োগ মান সম্মত হচ্ছে না। তাই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সরকারি বিনিয়োগের নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার ‘রোডস টু ২০৩০ : স্ট্রেটেজিক প্রায়োরিটিজ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সম্ভাবনার জানালা খোলা রয়েছে। কিন্তু সেটা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। সবাই জানি কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ করতে হলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রাইভেট খাতকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ হচ্ছে কিন্তু সেটা বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। ব্যয় বাড়ছে ব্যাপকভাবে। এর পেছনে গুড গভর্নেন্সের ঘাটতি আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে হবে।

ডিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম বলেন, এখন যেসব খাতে বিনিয়োগের প্রায়োরিটি দেয়া হচ্ছে বিগত ১০-১২ বছর আগেই এগুলোতে নজর দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু দেয়া হয়নি। এখন সেগুলো করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও বাস্তবায়নে গড়িমসি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা নিয়ে মিটিং হবে। সেই সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বাড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি চাইলে মান সম্মত বিনিয়োগে মনোযোগী হতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং খাতে শৃংখলা এবং ব্যাংকিং সিস্টেমটা স্বাভাবিক করতে হবে।

ইআরএফ-এর সেক্রেটারি জিয়াউর রহমান বলেন, বিনিয়োগ হলেও সেটা দীর্ঘ মেয়াদে চিন্তা করে হচ্ছে না। ১০০ কোটি টাকার কাজ করতে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথোরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে জমি প্রাপ্তির সমস্যা দূর করতে কাজ করছি। ব্যাপক অগ্রগতিও হয়েছে। দেশজুড়ে প্রায় ১০০ ইকোনমিক জোন করা হবে। এর মধ্যে ৭৬টির জন্য জমি অধিগ্রহণ সম্মন্ন হয়েছে, ২৩টি প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া বেসরকারি খাতেও স্পেশাল জোন দেয়া হচ্ছে।

ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ইংরেজ আমল থেকে যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। তবে বেসরকারি খাতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। সেটাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান। তিনি বলেন, সম্ভাবনা অনেক রয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে ২৮তম অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে পরিচিতি পাওয়া সম্ভব। এসব কিছু করতে হলে কিছু সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।

এমএ/আরএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।